রুণুর দুঃখ / অণু গল্প
অভিজিৎ চৌধুরী
এক রাগী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন মানে এখনও আছেন।যে রুমটায় বসেন তার নাম মুশকিল আসান।ঘরে এলে,দেখা করলে মুশকিল আসান হয় বটে তবে বকাও খেতে হয় ব্যাপক।
বকা দিয়ে তিনি অবশ্য জামা দেন,লজেন্স দেন আবার কলমও দেন।
প্রায় ভাবেন রাগ করবেন না বরং একটা দ্বীপ কিনবেন।রাগ মানে তো লস বা লোকসান।
দ্বীপ কিনবেন হাভানা বা কেপ অফ গুড হোপ।কেউ উনাকে এমনটা বলেছে।কিন্তু রাগনতো কমে না,যতোই রাগ নিরোধক ক্যালপল খান না!ফলে দ্বীপ কেনা হয়ন আর।
একদিন হল কি- কলকাতায় খুব বৃষ্টি হল।জলে জলাকার চারিদিক।রুণু ম্যাডাম আবার অফিস কামাই করতেন না।কিন্তু সেদিন উপায় নেই,গাড়িবডুবে যাচ্ছে জলে।অগত্যা যাওয়া হল না।ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখলেন বাড়িটা যেন দ্বীপের মধ্যে এক জেগে রয়েছে।স্বপ্নও দেখলেন বিস্তর।একদিনের ছুটিতে দ্বীপের স্বপ্ন সার্থক হতে দেখে আনন্দ হল বেশ।সন্ধেয় অনেক দিন পর বাগমারিতে ব্যাঙসহ প্রচুর শেয়ালও হুক্কা হুয়া জুড়ে দিল কারণ তাদের গর্তে জল ঢুকে গেছিল।
রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
পরদিন সকালে রোদ দেখে আনন্দ হল খুব।রাগও দেখলেন নেই।থার্মোমিটারে রাগের তাপমাত্রা ৯৮।
সেই থেকে রুণুর দুঃখের অবসান হল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন