গড়পরতা গোধূলিবেলা
উমাপদ কর
ঘন-কে আহ্লাদে গলিয়ে গালে মাখি। শীত এসে গেল। ঠাণ্ডা-কে তোয়াজে ঘষে গরম করি। জলের কাকস্নান দেখে গায়ে কাঁপুনি। চন্দ্রমল্লিকার কুসুমগুটি কতদিন একইরকম স্থির। আহা শীত…
নিবু আঁচে জীবনের ওপর-ওপর সর হয়ে এল। ভেতরে যেতে চায় মাছিদল। ওদের হুল নেই; শুধু থেকে থেকে ঘুর-ঘুর। কলালাপের আশায় থেকে তরল ঠাণ্ডা হয়ে আসে। একটা গুঞ্জন সে শুনেছে। অদূরেই কি ফুলকীট মধুছাতা খুলেছে! ওহো শীত…
ভোগ করতে করতে উপ ক্ষয় হয়ে গেছে যাপনে। উপ শমে আর জোড়ে না। হা-হা নিয়ে হাহাকার গড়ে তোলে প্রাচীর প্রাকার। বদ্ধতা মুক্তির গান গাইতে গাইতে গলায় কর্কট বসায়। শীত ঘন হতে থাকে। বড়ো আগুনের গোল্লাছুট থেকে ছুটি নিয়ে কবেই ঢুকে গেছি সরের ছায়ায়। হি-হি শীত…
শীতের প্রাসাদে মাঝেমাঝে কেউ পোড়ানো ভুট্টা বেচতে আসে। তাদের পায়ের শব্দ বড়ো চেনা। শীত ফুরোয়, নটে গাছ মুড়োয় না। আবার পাতাপল্লবে ছাতাও হয় না। চন্দ্রমল্লিকা ফোটার ডেট কখন যে এক্সপায়ারড হয়ে যায়। হে-হে শীত হে!
০১-১২-২১
কবিতা পড়ে মনে পড়ল নদীতীরের জেটিতে যে কুয়াশা থাকে তাকে অন্যতর কুয়াশা দিয়ে কাটাকুটি করছি বা করছেন কবি।
উত্তরমুছুন