হে মহাজীবন
অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়
হে মহাজীবন, তোমার ভেতর দেখি
সমুদ্র জলের মতন ওঠা নামা-
নোনা হাওয়ায় ভেতর ঢেউয়ের গর্জন
চোখের ভেতর রূপোলী ফেনা
অযাচিত ভাবে ছিটকে এসে লাগে
অনুভূত হয় শীতল জলকণা
এভাবেই,
যে বালির ওপর জমা হয় পায়ের ছাপ
তা নতুন দূরন্ত ঢেউয়ের দাপটে
কেমন অদৃশ্য হয়ে যায়
এরকম ভাবেই
একটা জীবন যায়, অন্য জীবন আসে।
হে মহাজীবন, তোমার ভেতর ঘনায়
আঁধার ঘন রাত-
চারিদিকে নিস্তব্ধতার গল্প শুনি
দূরতম প্রান্ত থেকে আসে ঝিঁঝি পোকার ডাক
বাতাসে কেমন যেন মাদকতা
তবুও আকাশ জুড়ে ছড়ানো নক্ষত্র আলো
যেন কোন মেহফিল
একটা চক্রকারের ভেতর পৃথিবী
পরক্ষণেই এসে দাঁড়ায় রৌদ্র আলো।
হে মহাজীবন, তোমার ভেতর দিয়েই
যুদ্ধক্ষেত্রে জেগে উঠি-
মাটির ধুলোর ভেতর বারুদ গন্ধ
কানে আসে মিছিল গর্জন
পায়ের কাছে ক্ষুধার্ত মানুষের আর্ত চিৎকার
ঘামে ভেজা শিক্ত শরীর
পরাজয়কে দূরে সরিয়ে রেখে জয়ী হয়ে উঠি।
হে মহাজীবন, তোমার ভেতর জেগে ওঠে স্বপ্ন
হতাশার ধুলো সরিয়ে দিই
দূরে অরণ্য থেকে আসে অরণ্যশব্দ
আকশের ওপর দিয়ে রঙিন পাখির উড়ান
যেন শিশুর হাসির মতন
তুমি এভাবেই
নিয়ে আসো একটা নতুন পৃথিবী
তার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন