নস্টালজিয়া
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
জায়গাটা মফঃস্বল। ছোট শহর । ভাঙা গম্বুজ, প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ আর চলতি পথের ধারে ছড়িয়ে আছে অতীতের ইতিহাস -সুপ্রাচীন নবাবি আমলের ঐতিহ্য । শীতকাল। ভোরের অস্পষ্ট আলো ফুটছে খুব ধীরে, সন্তর্পণে । ঝুপঝুপে অন্ধকার । পাখিরা বাসায় বসেই ডাকছে।দু-একটা টাঙা অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়ির চলাচল শুরু হয়েছে ঘোড়ার খুড়ের খুটখাট শব্দে। গাঢ় কুয়াশায় ঢাকা চারিধার।গবার চায়ের দোকানটা স্টেশন চত্বরে প্রথম খোলে। কলকাতাগামী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার আসবে ।যাত্রীরা সোয়েটার, চাদর, টুপি, মাফলারে জবরদস্ত ঢেকে একে একে হাজির হচ্ছে স্টেশনে। লোকজন বেশির ভাগই আসছে হেঁটে ।মাত্র একটা রিক্সা এল যাত্রী নিয়ে । গাছপালায় ঘেরা শহরে পুরোনো বাড়িগুলো স্হবির প্রপিতামহের স্মৃতি নিয়ে জাঁকিয়ে বসে আছে । ভোরের আলোআঁধারিতে ফসলের খেত ভালো দেখা যায় না । তবে একটু ঠাহর করে দেখলে বোঝা যায় শীতকালীন সবজি চাষের খেত। ফুলকপি, বাঁধা কপি, পালং, সরষে ,ছোলার খেতে শিশির ভেজা সবুজের হাতছানি। স্টেশনের কাছাকাছি বাড়ি কম। সিম, বরবটি শশার মাচায় দু একটা দোয়েল শিস্ দিয়ে ফিরছে।
এ শহর আমার খুব চেনা
উত্তরমুছুন