পূরবী-২৮
অভিজিৎ চৌধুরী
এই তো সেদিনের কথা ১৯১২ বা ১১ হবে রোটেনস্টাইন এসেছেন ৬ নম্বর বাড়িতে অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্রনাথের চিত্র প্রদর্শন দেখতে।
৬ নম্বর বাড়িতে খবর এলো রবি অস্ত গেছেন।শোকের প্রদাহ থেকে ফিরে এসে অবন ঠাকুর আঁকতে শুরু করলেন।জনজোয়ারের মধ্যে রবিকাকা।
অবন ঠাকুর বললেন,Still wonder remains.
রোটেনস্টাইন বললেন,রাইট।হোয়াট ইট ইজ!
রবিকা।মাই রবিকা।
রোটেনস্টাইনকে নিয়ে এলেন রবিকার কাছে।
অপূর্ব, দেবপ্রতিম একজন মানুষ স্মিত হাস্যে বসতে বললেন।
রোটেনস্টাইন চুপ করে রইলেন।সাদা পোশাকে কি অপূর্ব সেই মানুষ।
রবীন্দ্রনাথ শান্ত কণ্ঠে শুরু করলেন Songs Offerings.
কিছু যেন কানে যাচ্ছে না রোটেনস্টাইনের।ভারত মহাসাগরের অবিরাম কলতান যেন তিনি পশ্চিমে বয়ে নিয়ে যেতেই এসেছেন।
কিছুক্ষণ শোনার পর বললেন,আপনি আবার কখনও ইংল্যান্ডে যাবেন!
কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছেন অবন।
রবীন্দ্রনাথ বললেন,রথী বলছিল আরবানায় যাবে।আমিও লন্ডনে ডাক্তার দেখাব।
হাসলেন রবীন্দ্রনাথ।
রোটেনস্টাইন বললেন,প্লিজ ইনফর্ম মি.
রবীন্দ্রনাথ যেন বললেন,আমার ভাইপো অবন লেখাতেও যে ছবি আঁকে।
ছবি আঁকা শেষ করে অবন ঠাকুর চুপ করে বসে ইলেন। ৫ নম্বর বাড়িতে কেউ কি আর বিবস্বানের দেখা পাবেন!
আহা কি সহজ বানান,রিদয়।
আমি যদি তোর মতোন লিখতে পারতুম।পটুয়ার লেখা।
লজ্জায় মাথা নোয়ালেন অবন ঠাকুর।প্রণাম করলেন চির ভাস্বর পুরুষটিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন