বিদেহ নন্দিনী
ডঃমালিনী
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদঃ বাসুদেব দাস
(নয়)
পরেরদিন স্বামী রামচন্দ্রের অভিষেক। তাই শ্বশুর রাজা দশরথের মনে আলোড়ন। মনে কোনো শঙ্কা ছিল যদিও বিকেল পর্যন্ত সমস্ত কিছুই ঠিকঠাক চলায় তাঁর চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছিল। সবাইকে ভাগ করে কাজ দিয়ে আনন্দিত মনে রাজা ছোটরাণীর রাজপ্রাসাদে এসেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন শুভবার্তাটা দিয়ে রানির ইচ্ছা পূর্ণ করবেন। দুজন মধুর আলাপের মধ্যে একে অপরের স্নেহ ভালবাসায় ডুবে যাবে। তাই রথ থেকে নেমেই তিনি দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন।
অন্যান্য দিন ছোটরানি পথের পাশে এসে রাজাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে আজ রানিকে না দেখে তিনি ভেবেছিলেন রানি হয়তো নিজের কাজে প্রাসাদে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি রানির শোবার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলেন। সেখানে না দেখে রাজা কৈকেয়ীর প্রিয় জায়গাগুলিতে খোঁজ করলেন। সেখানেও না পেয়ে তিনি ভাবলেন রানি নিশ্চয় লুকিয়ে রয়েছে। তিনি কখনও কখনও এই ধরনের মজা করেন। তাই রাজা একে একে সব জায়গাতে খোঁজ করলেন। তবে রানীকে কোথাও দেখতে পেলেন না। তিনি অবাক হয়ে একজন চাকরকে জিজ্ঞেস করলেন। চাকর সঙ্গে সঙ্গে জানাল-‘মহারাজ রানির রাগ হয়েছে। তিন গোঁসা ঘরে রয়েছেন।’ রাজা দ্রুত রানির ঘরে প্রবেশ করে যে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখলেন তাতে তিনি দুঃখে ম্রিয়মান হয়ে পড়লেন। তিনি রানির কাছে হাঁটু গেড়ে বসে চুলের মধ্যে আঙুল বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন –‘প্রিয়া, তোমার হঠাৎ এ দশা হল কেন? তোমার কি শরীর খারাপ? তুমি কোনো চিন্তা কর না। এই মুহূর্তে আমি দেশের জ্যেষ্ঠ কবিরাজকে ডাকিয়ে তোমাকে আরোগ্য করে তুলব। তুমি কেবল আমাকে বল তোমার কী হয়েছে? কিন্তু রানী কোনো জবাব দিলেন না। রাজা পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন-‘প্রিয়তমা, কেউ তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে নাকি?-না কি তুমি কাউকে দন্ড দিতে চাইছ? না কোনো বন্দিকে মুক্ত করে দিতে চাইছ? না কাউকে শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে চাইছ? তুমি যা চাও আমি তাই করতে প্রস্তুত।’
রাজা এভাবে বলার পরে নাকি শাশুড়ি রানি কৈকেয়ী উঠে বসলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বললেন –‘আমাকে কেউ দুঃখ দেয় নি। আমি কাউকে শাস্তি দিতে বা কারও শাস্তি লঘু করতে চাইছি না। আপনি কেবল আমার একটি কামনা পূরণ করুন। এই কাজ আপনার সাধ্যাতীত।
রানির কথা শুনে রাজার মনের মেঘ কেটে গেল। তিনি মুহূর্তের মধ্যে বললেন-‘কৈকেয়ী তোমার বাসনা আমি পূর্ণ করব। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। তুমি আমার সমস্ত রানিদের মধ্যে প্রিয়তমা। সেই প্রিয়তমা পত্নীর শপথ খেয়ে বলছি। আমার চার পুত্রের মধ্যে রাম অত্যন্ত স্নেহের। সেই রামের শপথ খেয়ে বলছি তুমি যা চাইবে তাই দেব। তোমার বাসনা পূর্ণ করব। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
সঙ্গে সঙ্গে রানি কৈকেয়ী নাকি উঠে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে দেবতাদের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বলল-‘হে দেবগণ,হে চন্দ্র, সূর্য এবং গ্রহ নক্ষত্র মন্ডল, আপনারা আমার স্বামীর অঙ্গীকার শুনলেন। আপনারা এই কথার সাক্ষী থাকুন। আমার স্বামী কোনোদিন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেনি এবং আজও এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে আমার মনের কামনা পূরণ করবেন।’
মাটির শয্যা থেকে উঠে রানি এভাবে কথা বলায় রাজা দশরথের মুখটা নাকি কিছুটা আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তিনি রানিকে তার চাহিদা অনুযায়ী জিনিস দেবার জন্য আগ্রহের সঙ্গে রানির মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন। ছোটরানি কৈকেয়ী নাকি বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে উচ্চস্বরে বলেছিলেন-‘মহারাজ,আপনার মনে আছে কি অনেকদিন আগে সম্বরাসুরের সঙ্গে দেবরাজ ইন্দ্রের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করার সময় আপনার আঘাত খুব শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি বুদ্ধির সাহায্যে আপনার রথ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম এবং আপনার দেহ থেকে তীর গুলি বের করে যন্ত্রনার উপশম করেছিলাম। আমার শুশ্রষায় সন্তুষ্ট হয়ে সেদিন আপনি আমাকে দুটো বর দিতে চেয়েছিলেন। সেকথা আপনার মনে আছে কি?’
রাজা বললেন-‘হ্যাঁ,আমার ঠিকই মনে আছে। তুমি যখনই বর চাইবে আমি দিতে প্রস্তুত।’ রানি পুনরায় বলেছিল-‘তখন আমি বলেছিলাম আমার বরের প্রয়োজন নেই। আপনি যে বেঁচে আছেন সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজন হলে কখনও পরে চেয়ে নেব। এখন আমার সেই বর দুটি চাই।’ রাজা নাকি আনন্দের সূরে বলেছিলেন-‘প্রিয়তমা, তুমি চেয়ে নাও সেই বর। আমি আনন্দের সঙ্গে দেব।’
শাশুড়ি মা নাকি তাকে পুনর্বার অঙ্গীকার করিয়ে নিয়ে বলেন-‘প্রথম বরে আপনি রামের অভিষেকের জন্য যে আয়োজন করেছেন সেই আয়োজনে রামের পরিবর্তে ভারতকে যুবরাজ করুন। আর দ্বিতীয় বরে রামকে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে পাঠান।সে দণ্ডকারণ্যে বনবাস যাপন করুক।’
রানির কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে রাজা দশরথ নাকি অচেতন হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ সেভাবে পড়ে থাকার পরে তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন। জ্ঞান ফিরে পেয়ে প্রথমে তিনি একটি খারাপ স্বপ্ন দেখছিলেন বলে ভাবলেন। যখনই কৈকেয়ীর মলিন চেহারার উপরে তার চোখ পড়ল তিনি পুনরায় মূর্ছা গেলেন। যখন রাজা আবার জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন তিনি ক্রোধে দাঁত কড়মড় করে বললেন-‘রাক্ষসিনী, কুলনাশিনী, তুই একটি বিষাক্ত সাপ। আমি তোকে চিনতে না পারে দূর দেশ থেকে বিয়ে করে নিয়ে এসে আমার অন্তরে জায়গা দিয়েছিলাম। আমাকে এভাবে দংশন করার জন্য একজন নাগিনীকে আমার অন্তরে জায়গা দেওয়াটা আমার পূর্বজন্মের কর্মফল মাত্র। রাম তোর কী অপকার করেছিল? তুই যে তাকে দণ্ডকারণ্যে পাঠাতে চাইছিস? তুই-ই আমাকে বলেছিলি রামের অভিষেক তাড়াতাড়ি করা উচিৎ। আমাকে সব সময় বলিস না কি যে তোর দুটি পুত্র আর প্রথম পুত্র হল রাম। সমগ্র প্রজার অতি আদরের রামকে আমি কী কারণ দেখিয়ে নির্বাসনে পাঠাব। আমি রামের অবিহনে এক মুহূর্তও বেঁচে থাকতে পারব না। তাই তোর মন থেকে এই পাপ কথাগুলি দূর কর। আমি তোর পায়ে ধরছি।’ এই বলে রাজা নাকি রানির পা দুটি ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিলেন।
তারপরে রাজা কণ্ঠস্বর কোমল করে নাকি পুনরায় বলেছিলেন- ‘আমার মনে হয় তুমি যে কথা বলছ সেটা তোমার অন্তরের কথা নয়। আমাকে কেবল পরীক্ষা করে দেখতে চাইছ ভরতের প্রতি আমার স্নেহ ভালোবাসা আছে কিনা?’আমি তোমাকে বারবার অনুরোধ করছি আমার এই বিখ্যাত রাজকুলের ধ্বংসের তুমি কারণ হয়ে উঠনা।
রাজার বিলাপে রানি কৈকেয়ী কর্ণপাত না করে নিজের মধ্যে অটল হয়ে রইলেন।
রাজা পুনরায় আদর করে বললেন-‘তুমি আজ পর্যন্ত আমাকে কখনও দুঃখ দাও নি। হঠাৎ কেন তুমি এত দুঃখ দিতে চাইছ? আমাকে কেন যমরাজের ঘরের অতিথি করে তুলতে চাইছ? এই পাপ কথাগুলি তোমার নিজের মন থেকে বলছ বলে আমি বিশ্বাস করি না। তোমার বিশুদ্ধ মন কে কলুষিত করল? তুমি রামকে মুকুট পরতে দেবেনা। সে ক্ষেত্রে কীভাবে বলতে পারলে তাকে বনবাসে পাঠাবে বলে? হিংস্র বাঘ, সিংহ এবং অন্য জন্তুতে পরিপূর্ণ জঙ্গলে সে কীভাবে থাকবে? তাই তুমি মন থেকে এই কথা পরিত্যাগ করে অন্য যেকোনো বর চাইবে আমি দিতে প্রস্তুত। তুমি আমার প্রতি একটু দয়ালু হও প্রিয়া। আমি পুনর্বার তোমার দুটি পায়ে ধরে কাকুতি করছি।’ এই কথা বলে রাজা কৈকেয়ীর পা দুটি জড়িয়ে ধরল।
কিন্তু রানি কৈকেয়ী নিজের মতে অটল হয়ে রইলেন। তিনি নাকি রাজাকে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে চেয়েছেন বলে তিরস্কার করা ছাড়াও অনেক কড়া কথা শোনালেন। তারপরে স্পষ্ট কণ্ঠে বললেন-‘আপনি রামকে যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করুন, কিন্তু আপনার সামনে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব।‘ রানির নিষ্ঠুর কথা শুনে রাজা লুটিয়ে পড়লেন। তার নাকি অনেকক্ষণ পর্যন্ত জ্ঞান ছিল না।যখন জ্ঞান ফিরে পেলেন তখন পুনরায় বললেন-‘ তোমার এই সুন্দর দেহের ভেতরে একটা কুৎসিত মন ছিল তা আমি জানতাম না। তোমাকে এই বর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এতটাই কুখ্যাত হয়ে পড়ব যে একজন কামান্ধ বৃদ্ধ রাজা তরুণী ভার্যা কে খুশি করার জন্য নিজের ইন্দ্রের মতো পুত্রকে নির্বাসনে পাঠাল। আমি ভালো করেই জানি যে রামকে একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে বনে যেতে প্রস্তুত হবে। রাম বনে গেলে যে তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে দেকথা তুমি কীভাবে ভাবতে পারলে? ভরত তোমার এই ষড়যন্ত্র মেনে নেবে বলে ভাব কি? আমি আজকেই অনুভব করছি তোমার মতো একজন রাক্ষসীকে মা হিসেবে পাওয়াটা ভরতের পক্ষে কতটা দুর্ভাগ্যজনক হতে পারে।’
রানি কৈকেয়ী নাকি রাজার বিলাপকে প্রলাপ বলে অভিহিত করে রাজাকে বলেন-‘আপনি প্রতিজ্ঞা থেকে পিছিয়ে এলে আগামীকাল সকালে রামের অভিষেকের পরিবর্তে আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেখতে পাবেন।’
কৈকেয়ীর নিষ্ঠুর বাক্যবাণে বিদ্ধ হয়ে শ্বশুর রাজা দশরথ নাকি ছটফট করছিলেন। শেষে তিনি বলতে বাধ্য হলেন-‘আচ্ছা,তোর কথাই রইল। রাম বনবাসে যাক। আর আমিও মৃত্যুবরণ করছি। আমার এবং কুলের সর্বনাশ করে তুই বিধবা হয়ে নিজের অভিলাষ পূর্ণ করে জীবন ভোগ কর।’ কথাটা বলে নাকি রাজা পুনরায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে যখন জ্ঞান ফিরে এল তখন নাকি প্রলাপ বকতে শুরু করেছিলেন-‘হে রজনী তুমি চলে যেও না, তুমি চলে গেলে রামের অভিষেকের জন্য নগরবাসী বন্যার মত ধেয়ে আসবে।তখন আমি প্রজাকে কী বলব।রামকে কীভাবে বনবাসে পাঠাব।’
পরমুহূর্তে তিনি আর্তনাদ করে বলে উঠেছিলেন-‘না,হে রজনী, তুমি তাড়াতাড়ি প্রস্থান কর। না হলে আমাকে এই পাপিষ্ঠা মহিলার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।’ এভাবে প্রলাপ বকতে বকতে রাজা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন।
এবার নাকি জ্ঞান ফিরে পেয়ে করে রানিকে কাকুতি করে বলতে শুরু করেন-‘ হে প্রিয়া, রেগে গিয়ে তোমাকে অনেক কড়া কথা বলেছি। সমস্ত নিজগুনে ক্ষমা করে দিও। এই রাজ্য তোমাকে দিলাম বলে মনে কর। রাজ সভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে কার্য তুমি নিজের হাতে সম্পন্ন কর।প্রজা এবং মান্যবররা এর অন্যথা হলে খুব দুঃখ পাবে। রামের নির্বাসন তাদের কাছে মৃত্যুর সমান হবে। হে প্রাণেশ্বরী, এখনও তোমার মনের পরিবর্তন ঘটালে পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন তোমার নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।’- এভাবে বলে নাকি রাজা তার মাথাটা কৈকেয়ীর চরণ দুটিতে লাগিয়ে কাকুতি-মিনতি করতে লাগল। কিন্তু রানির মনের কোনো পরিবর্তন ঘটল না। তিনি রাজাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বললেন-‘আপনি বৃথা প্রলাপ বকে লাভ নেই। এখনই এখানে রামকে ডেকে পাঠান। সে ভরতকে রাজ্য বুঝিয়ে দিয়ে বনবাস যাত্রা করুক।’ রানি কৈকেয়ীর বাক্য শুনে রাজা দশরথ নাকি অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করতে শুরু করেন। অচেতন অবস্থায় রাজাকে চাকর-বাকরেরা ধরে খাটে শুইয়ে দেয়।
ছোট শাশুড়ির ঘরের ভেতরে ঘটা ঘটনাগুলি বনবাসে যাবার আগে যখন জানতে পেরেছিলাম আমি শোকে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। রাজার রানি না হতে পারার দুঃখে নয়। একজন প্রখ্যাত সম্রাট রাজ কুলের মর্যাদা রক্ষার জন্য বারবার নিজের প্রিয়তমা পত্নীর পায়ে ধরে কাকুতি মিনতি করার পরও পত্নীর অন্তরে তার প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি না জাগার জন্য। একজন স্বামীর কাছে এরচেয়ে বড় দুঃখের কথা আর কিছুই হতে পারে না। বিশ্বাসঘাতকতার একটা সীমা থাকে। যখন আমি জানতে পেরেছিলাম যে রাজা দশরথ আর্তনাদ করে বলেছিলেন-‘আমি আজ বুঝতে পারলাম স্ত্রীজাতি কতটা নিষ্ঠুর এবং নির্মম হতে পারে’, আমি তার এই মন্তব্যের জন্য দুঃখ পাইনি। কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কৈকেয়ীর বিশ্বাসঘাতক কার্যের জন্যই পুরুষ নারীকে যুগে যুগে বিশ্বাসঘাতিনী বলে আখ্যা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন