কিছু বই কিছু কথা । নীলাঞ্জন কুমার
স্বরবর্ণ জলে পড়ে গেছে । অদীপ ঘোষ । পাঠক । একশো টাকা।
সমালোচনা করতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি বেশির ভাগ কবির ভেতরে অহেতুক বেশি বেশি কথা বলার প্রবণতা মজ্জাগত । দামী কমদামী মধ্যদামী কবিদের ভেতর এই প্রবণতা যে কি সর্বনাশ করে যাচ্ছে তা সে সব ধৃতরাষ্ট্রদের কে বোঝাবে! একই কথা বলার মধ্যে পাঠককে গবেট ভেবে নেওয়া ছাড়া আর যে কিছু থাকে না তা গরিষ্ঠাংশ কবিরা ভাবে না।অবশ্য কবি অদীপ ঘোষ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম । তাই তিনি কবিতা সেরে ফেলেন দুই থেকে পনের কুড়ি লাইনের মধ্যে যা এক লহমায় কবির ভাবনা সচেতন পাঠকের মনে সন্ঞ্চারিত করতে যথেষ্ট বলে মনে করি । আর যখন তাঁর সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ ' স্বরবর্ণ জলে পড়ে গেছে '-র ভেতরে: ' মদের নেশায় চুর আরেক ঈশ্বর মুখে চালান করল ঈশ্বরের ভগ্নাংশ/ বাড়ি ফিরে মাতালটা কালসিটে এঁকে দিল বৌয়ের গতরে । ' ( ' জীবশীব ') তখন কবিতার ক্যারিশমা বোঝা যায় ।
কবি আগের কাব্যগ্রন্থগুলির থেকে বেশ সরে এসেছেন , তাঁর কবিতায় সামাজিক অবস্থান টের পাওয়া যাচ্ছে । নেই শব্দের কেরামতি, আছে জীবনভিত্তিক কবিতার উপাদান । তার প্রমাণ তিনি দেন এসব কবিতায় : ' পাহাড় কতটা উঁচু মানুষ তা মাঝে মাঝে মাপে/ পাহাড়ের তাতে কোন হেলদোল নেই ' ( 'মহান ') , ' অহংকার আসলে একটা অসুখ/ চূড়ান্ত নিঃসঙ্গতায় তার নিরাময় ' ( ' রোগারোগ্য ')-র মতো দুলাইনের কবিতাগুলি ।
অদীপের কবিতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ আছে, তবে এখন নয় । অন্য কোথাও অন্য কোনখানে । দেবাশিস সাহার প্রচ্ছদ কেবলমাত্র ভালোই বলা যায় ।
স্বরবর্ণ জলে পড়ে গেছে । অদীপ ঘোষ । পাঠক । একশো টাকা।
সমালোচনা করতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছি বেশির ভাগ কবির ভেতরে অহেতুক বেশি বেশি কথা বলার প্রবণতা মজ্জাগত । দামী কমদামী মধ্যদামী কবিদের ভেতর এই প্রবণতা যে কি সর্বনাশ করে যাচ্ছে তা সে সব ধৃতরাষ্ট্রদের কে বোঝাবে! একই কথা বলার মধ্যে পাঠককে গবেট ভেবে নেওয়া ছাড়া আর যে কিছু থাকে না তা গরিষ্ঠাংশ কবিরা ভাবে না।অবশ্য কবি অদীপ ঘোষ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম । তাই তিনি কবিতা সেরে ফেলেন দুই থেকে পনের কুড়ি লাইনের মধ্যে যা এক লহমায় কবির ভাবনা সচেতন পাঠকের মনে সন্ঞ্চারিত করতে যথেষ্ট বলে মনে করি । আর যখন তাঁর সাম্প্রতিক কাব্যগ্রন্থ ' স্বরবর্ণ জলে পড়ে গেছে '-র ভেতরে: ' মদের নেশায় চুর আরেক ঈশ্বর মুখে চালান করল ঈশ্বরের ভগ্নাংশ/ বাড়ি ফিরে মাতালটা কালসিটে এঁকে দিল বৌয়ের গতরে । ' ( ' জীবশীব ') তখন কবিতার ক্যারিশমা বোঝা যায় ।
কবি আগের কাব্যগ্রন্থগুলির থেকে বেশ সরে এসেছেন , তাঁর কবিতায় সামাজিক অবস্থান টের পাওয়া যাচ্ছে । নেই শব্দের কেরামতি, আছে জীবনভিত্তিক কবিতার উপাদান । তার প্রমাণ তিনি দেন এসব কবিতায় : ' পাহাড় কতটা উঁচু মানুষ তা মাঝে মাঝে মাপে/ পাহাড়ের তাতে কোন হেলদোল নেই ' ( 'মহান ') , ' অহংকার আসলে একটা অসুখ/ চূড়ান্ত নিঃসঙ্গতায় তার নিরাময় ' ( ' রোগারোগ্য ')-র মতো দুলাইনের কবিতাগুলি ।
অদীপের কবিতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ আছে, তবে এখন নয় । অন্য কোথাও অন্য কোনখানে । দেবাশিস সাহার প্রচ্ছদ কেবলমাত্র ভালোই বলা যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন