কিছু বই কিছু কথা। নীলাঞ্জন কুমার
সময়ের শাদা কালো । অজয় নাগ । মাতৃমুখ । ত্রিশ টাকা ।
বিশিষ্ট কবি অজয় নাগের ১৯৭২ থেকে আজ পর্যন্ত যে ২৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে বেশির ভাগ পড়ে থাকার কারণে এই কবির কাব্যপথ নিয়ে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল থাকায় আলোচনার ক্ষেত্রে তা সুবিধে করে দেয় । কবির সাম্প্রতিক কাব্য পুস্তিকা ' সময়ের শাদা কালো '-র ৭৪টি খন্ড কবিতার ক্ষেত্রে তিনি এ সময়ের দোলাচল আঁকার চেষ্টা করেছেন । তাই পড়ে আনন্দ পাই : ' মাটির বুকে শিউলি ভোরের ঝরা পৃথিবী/ জ্যোৎস্নায় রজনীগন্ধা রক্ত/ আমি লিখি জীবন স্রোতে ঠিকানা ' নয়তো ' আমার আনন্দ সকলে ভাগ করে নেবে/ আমার দুঃখ সকলের ভাবি.../ এখন লোকালয়ের কালো কালো মেঘ/ সুখ শোক কারা ভাগ করে নেবে? '
আসলে সময় বড় বিচিত্র তাকে যেমন ছোঁয়া যায় না তেমনি ধরতে গেলে পালায় । শুধু ছাপ রেখে যায় । সময়ের ঠিকানা খোঁজার যারা চেষ্টা করেন তারা জানেন এ দুঃসাধ্য কাজে তাঁরা সফল হতে পারবেন না । তবু তাঁরা করেন যেমন কবি অজয় নাগ ।
সে কারণেই তিনি কবি । আর কবি বলেই তিনি লেখেন: ' হরিণ আজ বাঘের মুন্ডু পরেছে/ বাঘ হরিণের / আরশোলা প্রজাপতির..../ তোমার বাগান সাজাচ্ছে বাসনা/ তুমি শুধুই তুমি হয়ে/ কতদিন বসে থাকবে ' , ' যারা এসেছিলেন চলে গেছেন-/ তুমি স্নান করোনি/ ঢেকে রেখেছ মলিনতা/ তোমার মেধার শরীরে ' ইত্যাদি ইত্যাদি ।
হয়তো তাঁর কবিতা আপাত আহামরি নয় । তবু ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে তল হারায় । সেজন্যই তাঁকে পড়ি । আবিষ্কার করি । নিজেকে । কবিকৃত প্রচ্ছদ বিমূর্ত উপলব্ধি নিয়ে মনে ঘিরে থাকে ।
সময়ের শাদা কালো । অজয় নাগ । মাতৃমুখ । ত্রিশ টাকা ।
বিশিষ্ট কবি অজয় নাগের ১৯৭২ থেকে আজ পর্যন্ত যে ২৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে বেশির ভাগ পড়ে থাকার কারণে এই কবির কাব্যপথ নিয়ে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল থাকায় আলোচনার ক্ষেত্রে তা সুবিধে করে দেয় । কবির সাম্প্রতিক কাব্য পুস্তিকা ' সময়ের শাদা কালো '-র ৭৪টি খন্ড কবিতার ক্ষেত্রে তিনি এ সময়ের দোলাচল আঁকার চেষ্টা করেছেন । তাই পড়ে আনন্দ পাই : ' মাটির বুকে শিউলি ভোরের ঝরা পৃথিবী/ জ্যোৎস্নায় রজনীগন্ধা রক্ত/ আমি লিখি জীবন স্রোতে ঠিকানা ' নয়তো ' আমার আনন্দ সকলে ভাগ করে নেবে/ আমার দুঃখ সকলের ভাবি.../ এখন লোকালয়ের কালো কালো মেঘ/ সুখ শোক কারা ভাগ করে নেবে? '
আসলে সময় বড় বিচিত্র তাকে যেমন ছোঁয়া যায় না তেমনি ধরতে গেলে পালায় । শুধু ছাপ রেখে যায় । সময়ের ঠিকানা খোঁজার যারা চেষ্টা করেন তারা জানেন এ দুঃসাধ্য কাজে তাঁরা সফল হতে পারবেন না । তবু তাঁরা করেন যেমন কবি অজয় নাগ ।
সে কারণেই তিনি কবি । আর কবি বলেই তিনি লেখেন: ' হরিণ আজ বাঘের মুন্ডু পরেছে/ বাঘ হরিণের / আরশোলা প্রজাপতির..../ তোমার বাগান সাজাচ্ছে বাসনা/ তুমি শুধুই তুমি হয়ে/ কতদিন বসে থাকবে ' , ' যারা এসেছিলেন চলে গেছেন-/ তুমি স্নান করোনি/ ঢেকে রেখেছ মলিনতা/ তোমার মেধার শরীরে ' ইত্যাদি ইত্যাদি ।
হয়তো তাঁর কবিতা আপাত আহামরি নয় । তবু ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে তল হারায় । সেজন্যই তাঁকে পড়ি । আবিষ্কার করি । নিজেকে । কবিকৃত প্রচ্ছদ বিমূর্ত উপলব্ধি নিয়ে মনে ঘিরে থাকে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন