বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বাংলা ৷ নবপর্যায়-৬০০ ৷ ২৭-০৮-২০১৮ ৷


বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়

কেটে যাচ্ছে গড়পড়তা সময়, বৃত্তীয় বিন্দুগুলোকে অনুসারী যাপন করে।এঁকে যাচ্ছে রঙপেনসিলের রাস্তা ~ স্বযাপনের কাঠপেন্সিল-স্কেচ।আসলে ধ্রুবতারা যখন বড়ো হয়ে ওঠে, হয়তো তার প্রতিফলনও আকারে বেড়ে যায়, না কি কম ~ এই সব জটিল কোলাহলে সকলকে আশ্রয় দিতে চায় : মাচানতলার অধুনা ভ্রূণ, আমাদের এই গল্পের নায়ক।কোলাহলমুখর আশপাশ / একেএকে সূর্য থেকে চাঁদতারা, আর তাদের ছায়া ~ এটাই হয়তো সভ্যতার ক্রমপরিবর্তন।সে ভাবে আর, বেড়ে ওঠা বয়স তাকে দেখায় ও ভাবায়।মাটির উষ্ণতার ওঠানামায় সে বুঝতে তার বয়স, চারপেয়েদের তৈরি করা শীত বা শীতলতা।এভাবেই একদিন কোলাহল সমীকরণে সে দেখে চারপেয়ে কিছুকিছু হঠাৎ কেমন দুপেয়ে হয়ে হেঁটে বেড়ানো শুরু করেছে।এক বিস্মিত আওয়াজ / অথবা তাদের, তাকে কেন্দ্র করে মেঘবৃষ্টিরোদ-কে ডাকা বা ঘুম পাড়ানো।বড়ো আদর অনুভব করে সে।সে বুঝতে পারে, গোটা মাটিটাকেই সে ছায়া দিয়ে / ঢেকে / না ঢেকে / চুমু খেয়ে / হাত বুলিয়ে ~ জাদুকাঠি আগলে রাখছে।আর এটাই তার সভ্যতাকে কথা দেওয়া আশ্রয়।এই ব্রহ্মাণ্ড কতোই না জানি রঙঘোরে মশগুল।জোনাকির টিপ আর নানান্ শব্দের আবহাওয়ায়, নিজেকে কোনো বিস্মরণের আড়াল নয়।বরং ভালোবাসাবাসির গুহায়, তার হাত বিস্তৃত ও সবল।কথা বলে সে, শব্দের সাথে ও বিপরীত শব্দের সাথে।আস্তেআস্তে মনকেমন করা ঘুমের ঘোরে সে ঘুমিয়ে যায় অনেকক্ষন ধরে, অনেককাল ধরে।মনেমনে ঘুরে আসে রঙিন প্রজাপতির পিঠে চড়ে, মেঘছানা আর নূরপরিদের ছমছমানি দেশ থেকে।মশগুল সবাই।মশগুল সব সবুজ, সমস্ত সাতরঙা ভালোলাগার মাটিবেশ / জল / আকাশ।





রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বাংলা ৷ নবপর্যায়-৫৯৯ ৷ ২৬-০৮-২০১৮


বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়



ধুপধাপ শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার।হয়তো তার অংশ থেকে, তারই মতো আরেকবার ভ্রূণ তৈরি করার প্রস্তুতি।ভ্রূণ কিভাবে সৃষ্টি হয়? সৃষ্টিশীল সৃজনশক্তি ছাড়া ভ্রূণ একথা জানেনা।ভ্রূণ ক্রমশঃ সময়ের সাথে বিক্রিয়াকারী জারন ফসলে, এক আগামীর রূপক শিকড়।জটিলতা বাড়ে তখনই, যখন সে ভাবে ~ কেনোই বা এতোসব ভাবছে সে।কিন্তু ছেদচিহ্ন ওই ধুপধাপ চারপেয়ে শব্দগুলো।এতদিন, সে দেখে এসেছে জল → জলতরী ← তড়িৎ → তড়িৎকোষ → কোষীয় → কোষীজনন → অববাহিকা → অ্যামাইনো অ্যাসিড → অ্যামিবা → সরীসৃপ → উভচর।কিন্তু চারপেয়ে?নিরামিষ ও মাংসাশী যতদিন ছিল, সে শুধু সাক্ষ্য দিয়ে গেছে খাদ্যচক্রের, কিন্তু খাদ্যচক্রের দশাও কি পাল্টায়?সে উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আরো উঁচু হয়, চেষ্টা করে আস্ত একটা পাহাড় প্রসব করার।কিন্তু সূর্যপিরামিড, সেই ডানা, সেই মেঘছানা, শীতশীত টুপটাপ ~ এরা মানবে কেন।সে সংযত হতে শেখে, আর তখনই তার ফুসফুসে ঢুকে পড়ে নিষিদ্ধ নিষেকের তরল "যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।রাগ নয়, ভালোবাসা চাই"।সে তখনও শেখে নি ভালোবাসার শব্দগুলো ঠিক কিরকম ও কি কি?
যখন বুঝতে পারে, তখন চারপেয়েরা তার আশেপাশে পরস্পর ভালোবাসায় মত্ত।তারা বসত চায়, সে আশ্রয় দেয়।এই গ্রহে, এটাই হয়তো সেই প্রকৃত মহৎ কাজ।চারপেয়ে ছানাগুলোকে, সে হাত বাড়িয়ে মেঘ পেড়ে দেয়।কখনো জল দেয়, আলো ও আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করে, নদীকে বলে ঝর্ণা হয়ে রঙিন ম্যাজিক দেখাতে।বাছা আমার সাত রাজার ধন, এক মাণিক / আয় সোনা কোলে আয় ~ কোলে থেকেই তুই বড়ো হয়ে ওঠ, রোদছায়ার জাদুকর হ।
@


সময়-পথিক হাঁটতে থাকে, পক্ষীরাজ চড়ে পাখপাখালি পাল্কিপালক, গল্পদাদুর ঘরে


বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৮

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন , রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় । বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৯৬ । অষ্টম বর্ষ । ২৩-০৮-২০১৮ । গল্প

বুড়ো শিকড়ের আত্মকথন
-------------------------------------------------------------
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় 

ভূমিষ্ঠ হবার সাথেসাথেই ভ্রূণটি ভ্যাঁভ্যাঁ করে কাঁদে।আসলে ভ্রূণের প্রকাশ এরকমই, অন্ততঃ এই ব্রহ্মাণ্ড তা মানে।ব্রহ্মান্ডের অন্তর্গত প্রতিটা আকৃতিরই একটি পুনঃপ্রাথমিক শাব্দিক ক্ষেত্রফল থাকে, যেখান থেকে প্রমাণিত হয় দূরত্ব বাড়ানো নৈশব্দ-ও একটি বিপরীত শব্দের আত্মকথন।এতক্ষন, যা পড়লেন পাঠক ~ হয়তো ভাবছেন, আমরা তো বিপরীত শব্দের গল্প শুনতে অভ্যস্ত নই।তবু ঠিক এমনটাই হতে চলেছে বিশ্বাস করুন।কারণ, মাত্রাহীনতার মতো প্রলাপে বিশ্বাস ~ আদি ও অকৃত্রিম গুহামানুষের অধুনা জন্মগত অধিকার।আর, আমরা তার বংশজ আগামীর বীজ।ঠিক এরকমই বীজ থেকে জন্ম নিয়েছিল ~ মাচানতলার বটগাছ।পৃথিবীর বয়স তখন (-)৪০০০।ইনিই আমাদের গল্পের একা এবং অদ্বিতীয় কেন্দ্রীয় চরিত্র।কোনোরকম শালিশি ছাড়াই, সে দেখেছিল তার অংশানু সম ভাইবোন, বন্ধু, পরিজন, বাবা ও মা।ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় একথার।প্রথমদিকে যখন সে খিলখিলিয়ে হেসে উঠতো, মা বলতো বাছা আমার সাত রাজার ধন / এক মাণিক।বাবা বলতো, আয় সোনা কোলে আয় ~ কোল থেকেই তুই বড়ো হয়ে ওঠ।পরিজনরা বলতো, সাবধানে থাকিস।সূর্যিমামার দুষ্টুমি, হাওয়াবেগের শনশনানী, বৃষ্টির ঘুমপাড়ানি চঞ্চলতা, পাখিদের ঘুমভাঙানি কিচিরমিচির তাকে মুগ্ধ করে তুলতো।সে ভাবতো, পৃথিবীটা কত্তো সুন্দর, যেনো ছোট্ট ঘরে সময়ের আহ্লাদীপনা।খেলা বলতে, সে বুঝতো শুধু ~ বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে, কে কতো উঁচুতে হাত বাড়িয়ে মেঘছানা ছুঁতে পারে।ছুমন্তর দেখতে চাইলেই আবার, কিছু বন্ধু নানান্ রকম রঙের খেলা দেখাতো।মাকে যখন সে বলতো, রঙের খেলা সে কেনো পারে না ~ বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতো, সোনা আমার রোদ আর ছায়ার ম্যাজিক দেখাবে।হিজিবিজি উষ্ণতায় চুকিতকিত খেলা সময়, আর নাতিশীতোষ্ণ মাটির সোঁদা গন্ধ মাখানো বাষ্প।এভাবেই চলছিল, কিন্তু হঠাৎ এক রাত্তিরে কোথা থেকে যেনো বেড়ে গেলো আলো।উফঃ কি গরম, সীসার আস্তরণে যেনো গোটা পৃথিবী আগুনে আলোর মশাল।বৃষ্টি নামো, বর্ষা নামো।সবই যেনো ছুটিতে ঘুরতে গেছে মামাবাড়ি।রঙিন বন্ধুগুলোর বিদায়, তারপর বেশ অনেকটাসময় জুড়ে তার চোখের জল শান্ত করলো তার শরীর, সে চোখ মেলতে পারলো।আর দেখলো, সে সবচেয়ে শক্তিশালী উঁচু হয়ে উঠেছে রাতারাতির আকাশী জাদুকাঠির স্পর্শে।

চলছে...



Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...