সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০
আটপৌরে কবিতা || নীলাঞ্জন কুমার || ধারাবাহিক বিভাগ
আটপৌরে কবিতা || নীলাঞ্জন কুমার ||
১৯.
ব্যঙ্গ/ উপেক্ষা/ কটুক্তি
) সহ্য (
যে করে সে পারে ।
২০.
আঘাত/ বিপর্যয়/ দুর্বিপাক
) হতাশা (
কোথা থেকে ছুটে আসে !
২১.
সিংহাসন/ মুকুট / জয়ধ্বনি
) রাজত্ব (
মাথার ওপর তরবারি ঝোলে ।
২২.
শরীর/ মন/ পৃথ্বী
) অভিন্ন (
জানে বোঝে মানে সবাই ।
২৩.
দাম/ কেনা/ বেচা
) নিত্যি (
হাটে বাটে মাঠে ঘাটে ।
২৪.
চুরি/ ডাকাতি/ রাহাজানি
) অনায্য (
যে যত ঢাকতে চায় ।
২৫.
প্রমাণ/ সাক্ষী/ তথ্য
)বিচারক (
নিয়মের বাইরে পথ নেই ।
১৯.
ব্যঙ্গ/ উপেক্ষা/ কটুক্তি
) সহ্য (
যে করে সে পারে ।
২০.
আঘাত/ বিপর্যয়/ দুর্বিপাক
) হতাশা (
কোথা থেকে ছুটে আসে !
২১.
সিংহাসন/ মুকুট / জয়ধ্বনি
) রাজত্ব (
মাথার ওপর তরবারি ঝোলে ।
২২.
শরীর/ মন/ পৃথ্বী
) অভিন্ন (
জানে বোঝে মানে সবাই ।
২৩.
দাম/ কেনা/ বেচা
) নিত্যি (
হাটে বাটে মাঠে ঘাটে ।
২৪.
চুরি/ ডাকাতি/ রাহাজানি
) অনায্য (
যে যত ঢাকতে চায় ।
২৫.
প্রমাণ/ সাক্ষী/ তথ্য
)বিচারক (
নিয়মের বাইরে পথ নেই ।
কবিতা || পরিযায়ী বিমান || মৃৃত্যুঞ্জয় জানা
পরিযায়ী বিমান
মৃৃত্যুঞ্জয় জানা
ফিরে এসেছে নিস্তব্ধ দুপুর,কোলাহল বিকেল ফিরিয়ে দিয়েছে
গল্প শোনা,আড়ি করা ,ভাঙ্গা ,কাঁথা সেলাই আড্ডা ঢেঁকিতে ধান ভাগা -শব্দ
তালপাতার তালচাটাই
শিলা বৃষ্টির শিল কুড়ানোর শাল পাতার টুপি
মুক্ত বাতাস আর স্বচ্ছ নদীর জলের মসকরা
অসংখ্য নিরুদ্দেশ পাখির কলতান
গাছ ভর্তি টুনটুনি বাসা
সন্ধ্যায় খবরের কাগজের মশলা মুড়ির উল্লাস
ধূলো ভর্তি বইয়ের পাহাড় আনন্দে অট্টহারা
টিভির সিরিয়াল করোনার ভয়ে কুপকাত
ভিজে যাওয়া বিকেলের সন্ধ্যায় -মা কাকি দের হাত ভর্তি লুচির ধামা
পাড়া পাড়া ভেসে ক্ষীর পুলির রাত
বুড়ির চার বছর তাকিয়ে থাকা আকাশে ভেসে এসেছে আজ ব্যালকনিতে পরিযায়ী বিমান॥
মৃৃত্যুঞ্জয় জানা
ফিরে এসেছে নিস্তব্ধ দুপুর,কোলাহল বিকেল ফিরিয়ে দিয়েছে
গল্প শোনা,আড়ি করা ,ভাঙ্গা ,কাঁথা সেলাই আড্ডা ঢেঁকিতে ধান ভাগা -শব্দ
তালপাতার তালচাটাই
শিলা বৃষ্টির শিল কুড়ানোর শাল পাতার টুপি
মুক্ত বাতাস আর স্বচ্ছ নদীর জলের মসকরা
অসংখ্য নিরুদ্দেশ পাখির কলতান
গাছ ভর্তি টুনটুনি বাসা
সন্ধ্যায় খবরের কাগজের মশলা মুড়ির উল্লাস
ধূলো ভর্তি বইয়ের পাহাড় আনন্দে অট্টহারা
টিভির সিরিয়াল করোনার ভয়ে কুপকাত
ভিজে যাওয়া বিকেলের সন্ধ্যায় -মা কাকি দের হাত ভর্তি লুচির ধামা
পাড়া পাড়া ভেসে ক্ষীর পুলির রাত
বুড়ির চার বছর তাকিয়ে থাকা আকাশে ভেসে এসেছে আজ ব্যালকনিতে পরিযায়ী বিমান॥
রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
কবিতা || চিত্রকর || বন্দিশ ঘোষ
চিত্রকর
বন্দিশ ঘোষ
বোতামহীন জামার পকেটে লেগে থাকে
কবির কবিতা -
রোদ জড়ানো গায়ে এক ছবি
ফ্রেম আর ক্যানভাসে
চিত্রকরের স্বাক্ষর দিয়ে
রঙের প্যালেটের ঘুলঘুলিতে
চোখ বুলিয়ে দেখি -
নিবিড় জটিলতার কাটাকুটি খেলা শেষ
যে কথা লিখিনি কখনো,
শুধু মনে মনে কারুকাজ করি
শহরতলীর মেঘ আমায়
ইশারায় বলে দিলো সেকথা -
আমি তাই হাসিমুখে দেখি
টিকটিকি সংবাদ,
ডালে ডালে ফুটে ওঠা কৃষ্ণপ্রেম...
বন্দিশ ঘোষ
বোতামহীন জামার পকেটে লেগে থাকে
কবির কবিতা -
রোদ জড়ানো গায়ে এক ছবি
ফ্রেম আর ক্যানভাসে
চিত্রকরের স্বাক্ষর দিয়ে
রঙের প্যালেটের ঘুলঘুলিতে
চোখ বুলিয়ে দেখি -
নিবিড় জটিলতার কাটাকুটি খেলা শেষ
যে কথা লিখিনি কখনো,
শুধু মনে মনে কারুকাজ করি
শহরতলীর মেঘ আমায়
ইশারায় বলে দিলো সেকথা -
আমি তাই হাসিমুখে দেখি
টিকটিকি সংবাদ,
ডালে ডালে ফুটে ওঠা কৃষ্ণপ্রেম...
শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
আটপৌরে কবিতা নীলাঞ্জন কুমার
আটপৌরে কবিতা
নীলাঞ্জন কুমার
৭.
পৃথিবী / পরমাত্মা /জীবনধাত্রী
) মা (
শত কোটি প্রণামের উর্দ্ধে ।
৮.
সূর্য / চন্দ্র/ গ্রহ
) আচরণ (
চিন্তা দিয়ে পেরিয়ে যাই ।
৯.
ভদ্র / বিনয়/ অনুগত
) আচরণ (
শুধু ভালোবাসা টেনে আনে ।
১০.
ধূপ/ প্রদীপ/ ফুল
) পূজা (
কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ।
১১.
মন্ত্র/ শ্লোক/ কবিতা
) পরম্পরা (
কি করে বাসা বাঁধে ।
১২.
পরব/ পার্বন/ উৎসব
) একাঙ্গী(
মাতি মাতি এক হয়ে ।
১৩.
বোকা/ সরল/ নির্মল
) উপেক্ষিত (
গরলের কাছে সারা জীবন ।
১৪.
দিওয়ানি/ স্বপ্নপ্রেমী/ কবিতাপ্রেমী
) যন্ত্রণা (
কুরে কুরে কুরে খায় ।
অলোক বিশ্বাস || আটপৌরে কবিতা || ধারাবাহিক বিভাগ
প্রাতিষ্ঠানিক
-----------------
পৃথিবীকে না দিয়ে
পরাবাস্তবিক
আপেলগুলি গোপনে খাবে ভেবেছো ?
জোঁক
--------
সেতো অন্য সম্প্রদায়ের
লোক
শুনতেই তেড়ে এলো জোঁক।
মাছি
-------
যার পদতলে আছি
আদপে
সে, ভাগাড়ের দৈবিক মাছি।
ফলাফল
-------------
মরেছেন সহিস গতকাল
ফুটপাথে।
দলীয় পুলিশ নাজেহাল ছবিটাতে।
বিরোধ
---------
কাহারা করিবে ভুতের
সৎকার
সরকারি প্ল্যানে ক ফুৎকার।
২০৫৯
--------
হিঁদুর সাথে মুসুলমানের
বিয়ে।
জাদুমাখা আকাশের করতালি দিয়ে।
পরজীবী
------------
মন্ত্রিপুত্র যেখানেই যান
বুদ্ধিজীবী
তদীয় উচ্ছিষ্ট খুঁটে খান।
-----------------
পৃথিবীকে না দিয়ে
পরাবাস্তবিক
আপেলগুলি গোপনে খাবে ভেবেছো ?
জোঁক
--------
সেতো অন্য সম্প্রদায়ের
লোক
শুনতেই তেড়ে এলো জোঁক।
মাছি
-------
যার পদতলে আছি
আদপে
সে, ভাগাড়ের দৈবিক মাছি।
ফলাফল
-------------
মরেছেন সহিস গতকাল
ফুটপাথে।
দলীয় পুলিশ নাজেহাল ছবিটাতে।
বিরোধ
---------
কাহারা করিবে ভুতের
সৎকার
সরকারি প্ল্যানে ক ফুৎকার।
২০৫৯
--------
হিঁদুর সাথে মুসুলমানের
বিয়ে।
জাদুমাখা আকাশের করতালি দিয়ে।
পরজীবী
------------
মন্ত্রিপুত্র যেখানেই যান
বুদ্ধিজীবী
তদীয় উচ্ছিষ্ট খুঁটে খান।
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০
কবিতা || পাটিগণিতের পাটিসাপটায় || অভিজিৎ দাসকর্মকার
পাটিগণিতের পাটিসাপটায়
অভিজিৎ দাসকর্মকার
বাড়ীর আধ-শোয়া খাট সন্ন্যাস শিখিয়েছে , অহল্যাবাই রাস্তার সমকোণে সময় ও দূরত্ব may মাসের ১টি নির্দিষ্ট সপ্তাহে ক্রমশই বিপ্রতীপ মোড়ে ঘুরছে |
চোখের ড্রপ গড়িয়ে পড়ছে বাথরুমের বেসিনে___
যে মেয়েটির কোমরে পরিপাটি সাপটা। উলটো পাতায় লেখা আছে ১১ই মে এবং love is not love...
ওই দ্যাখো চোখের আড়ালে বেড়ে চলেছে কোলেস্টেরল এবং তার নিয়ন্ত্রণ।দেয়ালের ফাটল জুড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে এডউইন অলড্রিন আর নিরক্ষর জ্যোৎস্না____
শব্দ থেকে হিংসা তুলছে সিন্ধু-কুমার, আর স্নিগ্ধতার প্যান্টোগ্রাফ করছে নদী। নাব্যতা ঝুঁকে পড়ছে কি-বোর্ডে,
আধারকার্ডে যে ছবিটির বিজ্ঞাপনে ২১শে মার্চ বেলা ১০: ৩৭ মিনিট লেখা আছে , তার আরবী শব্দ থেকে গন্ধ আসছে জামার কলার, প্যান্টের জিপ্ এবং প্রকাশিত হওয়া দৈনিক প্রয়াসের comment box-এ।
ওকে তথাগত চেনাও। পাটিগণিতের পাটিসাপটায় এখনো দাঁতক্যালাচ্ছে লাল বাসকের রস_____
ঠাণ্ডা কমছে। মাথায় রাখা হয়েছে পিটুইটারি with ১২:১৫ am -এর মোবাইল স্ক্যান নোটিফিকেশন...
*
অভিজিৎ দাসকর্মকার
বাড়ীর আধ-শোয়া খাট সন্ন্যাস শিখিয়েছে , অহল্যাবাই রাস্তার সমকোণে সময় ও দূরত্ব may মাসের ১টি নির্দিষ্ট সপ্তাহে ক্রমশই বিপ্রতীপ মোড়ে ঘুরছে |
চোখের ড্রপ গড়িয়ে পড়ছে বাথরুমের বেসিনে___
যে মেয়েটির কোমরে পরিপাটি সাপটা। উলটো পাতায় লেখা আছে ১১ই মে এবং love is not love...
ওই দ্যাখো চোখের আড়ালে বেড়ে চলেছে কোলেস্টেরল এবং তার নিয়ন্ত্রণ।দেয়ালের ফাটল জুড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে এডউইন অলড্রিন আর নিরক্ষর জ্যোৎস্না____
শব্দ থেকে হিংসা তুলছে সিন্ধু-কুমার, আর স্নিগ্ধতার প্যান্টোগ্রাফ করছে নদী। নাব্যতা ঝুঁকে পড়ছে কি-বোর্ডে,
আধারকার্ডে যে ছবিটির বিজ্ঞাপনে ২১শে মার্চ বেলা ১০: ৩৭ মিনিট লেখা আছে , তার আরবী শব্দ থেকে গন্ধ আসছে জামার কলার, প্যান্টের জিপ্ এবং প্রকাশিত হওয়া দৈনিক প্রয়াসের comment box-এ।
ওকে তথাগত চেনাও। পাটিগণিতের পাটিসাপটায় এখনো দাঁতক্যালাচ্ছে লাল বাসকের রস_____
ঠাণ্ডা কমছে। মাথায় রাখা হয়েছে পিটুইটারি with ১২:১৫ am -এর মোবাইল স্ক্যান নোটিফিকেশন...
*
বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
আটপৌরে কবিতা | ধারাবাহিক বিভাগ | অলোক বিশ্বাস
আটপৌরে কবিতা/ অলোক বিশ্বাস
রীতিচক্র
-------------
আলো বিলি কতোবার
গঞ্জগ্রামে।
তথাপি আঁধার বিরাজে সরবে।
ইয়ার্কি
---------
নীলিমা তাহার হরিনাম।
পিতৃমাতৃহীন
যুগযুগ ধরে অসহায় অরফ্যান।
প্রতিশোধ
-------------
সমুদ্রে এসেছি বলে
প্রতিশোধ
নিলে, অন্ধ বানালে স্রোতে।
স্বজনপোষণ
------------------
আন্দোলন অনেকেই করেছেন।
একটিমাত্র
নাম, মহামান্য লিখেছেন ফলকে।
পাখি
-------
তুনিতুনি তুনতুন গাইলাম।
পাখি
দেখলোই না আহামরি কলাধাম।
আইরনি
------------
মিছিলের শেষে ধর্না
তারপর
ঘরে ফিরে কেবলই গয়না।
চেতনচেরি
---------------
সর্বত্র যদিও ধুলোমাখা
ছায়া।
তোমাকেও ভালোবেসে যায় মায়া।
বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
আটপৌরে কবিতা | ধারাবাহিক বিভাগ | অলোক বিশ্বাস
আটপৌরে কবিতা/ অলোক বিশ্বাস
হাস্য
------
তুলিকাদির রহস্যময় যৌনতা।
বলিলেন,
ঈশ্বরেই দেবো, মানুষ গৌণতা।
অরৈখিক
-------------
চায়ের ভূষণে মেশালে
কফি।
তোমার হরষে গাইলো রফি।
প্রাকৃতিক
-------------
পার্লারে যাওনি কখনো।
বাগানে
বসেই অপরূপে হতেছ মগ্ন।
অপরিবর্তন
----------------
প্রত্যেক পঞ্চবার্ষিকী অন্তর
তাঁহারা
বলছেন এহিবার তাঁহাদের মন্তর।
হাস্য
------
তুলিকাদির রহস্যময় যৌনতা।
বলিলেন,
ঈশ্বরেই দেবো, মানুষ গৌণতা।
অরৈখিক
-------------
চায়ের ভূষণে মেশালে
কফি।
তোমার হরষে গাইলো রফি।
প্রাকৃতিক
-------------
পার্লারে যাওনি কখনো।
বাগানে
বসেই অপরূপে হতেছ মগ্ন।
অপরিবর্তন
----------------
প্রত্যেক পঞ্চবার্ষিকী অন্তর
তাঁহারা
বলছেন এহিবার তাঁহাদের মন্তর।
আজকের কবিতা || এ কি কম পরাজয় // সন্দীপ সাহু
এ কি কম পরাজয়
সন্দীপ সাহু
কোকিল-ডাক পলাশ-রঙিন প্রেম-রমণ
বিষাক্ত নাগপাশের মরণ-মিছিলে,
শ্লোগান তুলছে বিশ্বময়
লড়াই করে বাঁচতে চাই।
গাইছে সাম্য-স্বপ্নের সেই বিখ্যাত গান
হাম হোঙ্গে কামেয়াব একদিন...!
কোকিল পলাশ কিচ্ছু জানতে পারছে কি!
কুহুডাক,রমণ-রঙে বিষের কোনো সন্ধান নেই!
প্রেম এখন লংমার্চে ব্যস্ত
যেখানে জীবনের রঙ লাল।
এতদিন যে শকুন চিল বাজ রাজত্ব করেছিল
লংমার্চ না জানা থাকায় মরণের পথ ধরেছে!
ছোট্ট চরুইয়ের সঙ্গেও অসহায় ভাবে
করতে হচ্ছে সন্ধি!এ কি কম পরাজয়!!
তাই লোক দেখানি অসহায় হুংকার
লাফ্টার লাইভ শো বেশ ভাইরাল,
টুনটুনির ঘরে রাজার সেনা অভিযানের মতো!
টুনটুনিই ঘায়েল করেছিল।
এখানে অবশ্য বিষ-মরণ ভয়ে
টুনটুনির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ
খড়কুটোকে আঁকড়ে ধরা!
অথচ এরকমটা হওয়ার কথা ছিল না
এটা তো প্রকৃত নশ্বরের গল্প নয়।
শকুন ইগল বাজকে বিশ্বাস করা যায় কি!
চড়ুই টুনটুনি শালিখের সে অভিজ্ঞতা অবশ্য আছে।
সন্দীপ সাহু
কোকিল-ডাক পলাশ-রঙিন প্রেম-রমণ
বিষাক্ত নাগপাশের মরণ-মিছিলে,
শ্লোগান তুলছে বিশ্বময়
লড়াই করে বাঁচতে চাই।
গাইছে সাম্য-স্বপ্নের সেই বিখ্যাত গান
হাম হোঙ্গে কামেয়াব একদিন...!
কোকিল পলাশ কিচ্ছু জানতে পারছে কি!
কুহুডাক,রমণ-রঙে বিষের কোনো সন্ধান নেই!
প্রেম এখন লংমার্চে ব্যস্ত
যেখানে জীবনের রঙ লাল।
এতদিন যে শকুন চিল বাজ রাজত্ব করেছিল
লংমার্চ না জানা থাকায় মরণের পথ ধরেছে!
ছোট্ট চরুইয়ের সঙ্গেও অসহায় ভাবে
করতে হচ্ছে সন্ধি!এ কি কম পরাজয়!!
তাই লোক দেখানি অসহায় হুংকার
লাফ্টার লাইভ শো বেশ ভাইরাল,
টুনটুনির ঘরে রাজার সেনা অভিযানের মতো!
টুনটুনিই ঘায়েল করেছিল।
এখানে অবশ্য বিষ-মরণ ভয়ে
টুনটুনির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ
খড়কুটোকে আঁকড়ে ধরা!
অথচ এরকমটা হওয়ার কথা ছিল না
এটা তো প্রকৃত নশ্বরের গল্প নয়।
শকুন ইগল বাজকে বিশ্বাস করা যায় কি!
চড়ুই টুনটুনি শালিখের সে অভিজ্ঞতা অবশ্য আছে।
ছড়া || রক্ষাকবচ কাশীনাথ সাহা
রক্ষাকবচ
কাশীনাথ সাহা
ঘরের থেকে বেরিয়ে ছিলাম জরুরী এক কাজে
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত বারোটা বাজে।
একা একাই পথ হাঁটছি নদীর ধারে ধারে
নির্জন পথে আর কেউ নেই সবাই ঘুমের ঘোরে।
চারিদিকে আর কেউ নেই জনমানব শূন্য
আমিই শুধু একলা পথে জরুরী কাজের জন্য।
কিছুটা পথ যাওয়ার পরে অবাক কান্ড একী
ঝোপের পাশে ঘোমটা পরা শাঁকচুন্নি দেখি।
আমাকে দেখে শাঁকচুন্নির ফোকলা মুখে হাসি
বলল, তুই কবিতা লিখিস তোর নাম তো কাশী?
আজগুবি তোর কবিতা পড়েই আমার এমন দশা
ঘাড় মটকে খাবো তোকে দিয়ে পেঁয়াজ শশা।
করজোড়ে বলি থামো শাঁকচুন্নি দিদি
দুঃখের কথা বলছি তোমায় একটু শোন যদি।
হাঁচি-কাশি হচ্ছে ভীষণ সাথে আছে জ্বর।
শাঁকচুন্নি লাফিয়ে বলে তাহলে তুই সর।
না না বাবা ছোঁবনা তোকে ছোঁয়াচে রোগ ভারি
চারিদিকে এখন শুনি চলছে মহামারী,
বহুদিন খাইনি মানুষ, ইচ্ছে ছিল তাই
কবি মানুষের ঘাড় মটকে কবির রক্ত খাই।
কিন্তু তোকে ছোঁয়াও নিষেধ, পালিয়ে নিজেই বাঁচি
রক্ষা পেয়ে তখন আমি জোরসে দিলাম হাঁচি৷
কাশীনাথ সাহা
ঘরের থেকে বেরিয়ে ছিলাম জরুরী এক কাজে
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত বারোটা বাজে।
একা একাই পথ হাঁটছি নদীর ধারে ধারে
নির্জন পথে আর কেউ নেই সবাই ঘুমের ঘোরে।
চারিদিকে আর কেউ নেই জনমানব শূন্য
আমিই শুধু একলা পথে জরুরী কাজের জন্য।
কিছুটা পথ যাওয়ার পরে অবাক কান্ড একী
ঝোপের পাশে ঘোমটা পরা শাঁকচুন্নি দেখি।
আমাকে দেখে শাঁকচুন্নির ফোকলা মুখে হাসি
বলল, তুই কবিতা লিখিস তোর নাম তো কাশী?
আজগুবি তোর কবিতা পড়েই আমার এমন দশা
ঘাড় মটকে খাবো তোকে দিয়ে পেঁয়াজ শশা।
করজোড়ে বলি থামো শাঁকচুন্নি দিদি
দুঃখের কথা বলছি তোমায় একটু শোন যদি।
হাঁচি-কাশি হচ্ছে ভীষণ সাথে আছে জ্বর।
শাঁকচুন্নি লাফিয়ে বলে তাহলে তুই সর।
না না বাবা ছোঁবনা তোকে ছোঁয়াচে রোগ ভারি
চারিদিকে এখন শুনি চলছে মহামারী,
বহুদিন খাইনি মানুষ, ইচ্ছে ছিল তাই
কবি মানুষের ঘাড় মটকে কবির রক্ত খাই।
কিন্তু তোকে ছোঁয়াও নিষেধ, পালিয়ে নিজেই বাঁচি
রক্ষা পেয়ে তখন আমি জোরসে দিলাম হাঁচি৷
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
Registration (Online)
-
" কফি হাউসের চারপাশে" পত্রিকা প্রকাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা ।। গত ১০ অক্টোবর কলকাতার সূর্য সেন স্ট্রিটের নির্মল ভবনে মৃণাল কান...
-
কবিতা। । আর জি কর কাশীনাথ সাহা প্রতিবাদ আজ পথে প্রান্তরে লক্ষ কণ্ঠে একই স্বর অভয়ার বিচার চেয়ে গর্জে ওঠে আর জি কর। কে কোন দল কোন সে ঝান্...