শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭১২ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 712 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১২ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 712 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১২

কলাব্রত


সু

শব্দব্রাউজ- ১০৮৩ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1083, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮৩ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1083, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮৩ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বি

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭১১ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 711 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১১ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 711 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১১

কলাব্রত


সুব্রাহ্মণ। ধনদাস। নিশ্চয়তা।


চিত্রকর


প্রতিভা সাধনযোগ্য জয় খন্ডন।

শব্দব্রাউজ- ১০৮২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1082, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮২ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1082, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮২ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থাকে ২৬.২.২৪. সময় বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট।


শব্দসূত্র: যা ভাবো তুমি


ভাবো তুমি

এ পৃথিবী

রাখবে হাতের মুঠোয়?


সব পদানত হবে

আর‌

করতে তোমার স্তুতি?


ভাবো তুমি

সব মিথ্যে

গায়ের জোরে

সত্যি বানাবে?


যা ভাবো

তাকে পাগলামো বলে।

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭১০ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 710 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭১০ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 710 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭১০

যতোবার


দহনের। সুখেদুখে। নিজেরই। 


সৎকার


ফিরে চলি পথের সন্ধানেই।

শব্দব্রাউজ- ১০৮১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1081, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮১ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1081, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮১ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা ৭০০১৫৭

থেকে ১৯.২.২০২৪ দুপুর বারোটায়।


শব্দসূত্র: মায়ের ভাষা শুধুই হাসা


মায়ের ভাষায় সেরা খুশি

পান্না চুনি রাশি রাশি

টাটকা তাজা বেশি বেশি ।


ক খ গ ঘ আমার প্রিয়

ঐক্য বাক্য শব্দ দিয়ো

আমার হাসি তোমরা নিও ।


মায়ের ভাষা শুধুই হাসা

একুশ ভরা খুশির নেশা

মনের ভেতর মাতৃভাষা।


 

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭০৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 709 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭০৯ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 709 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭০৯

অলীক

  


পাহাড়।নদীতে। ছোঁয়াছুয়ি।


বারবার


হেরে গেছি নিজেরই কাছে।

শব্দব্রাউজ- ১০৮০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1080, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৮০ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1080, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৮০ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১৬.২.২৪ দুপুর আড়াইটে


শব্দসূত্র : বাঁধা যে বীণার তা্রে


সম্পর্ক কি ছেঁড়ে?

সে বাঁধা যে বীণার তারে ।


বীণার মুর্ছনার সাত সুর

অতীত বর্তমান ঘোরায় ঘোরায় ।


আমি তুমি সে

সব বিস্ময়ের কাঙাল,

সাত সুর সম্পর্ক

ভেতরে ভেতরে মেশে।


সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭০৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 708 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭০৮ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 708 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭০৮

 শুধু


গতজন্ম। উজাড়। সবই।


নদীর 


কাছে এসে দাঁড়াও যতোবার।

শব্দব্রাউজ- ১০৭৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1079, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৭৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1079, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৭৯ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে

১৫.২.২৪. বিকাল সাড়ে চারটে।


শব্দসূত্র: উঠোন দালান ঘর


উঠোন দালান পেরিয়ে

ঘরের ভেতর

শব্দেরা যে টেবিলে ,

তার সামনে দাঁড়ালেই

শিহরণ।


ঘর তখন শব্দ ঘর

তাদের ফিসফাস কথা

যখন কলমে উঠে আসে


তখন কবিতাই হয়ে ওঠে । 

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

আটপৌরে ৭০৭ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 707 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭০৭ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 707 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭০৭

পানা


দলে।বদলে। দেখো।


ফালতু 


কথার সমাহার নদীর মেলায়।

শব্দব্রাউজ- ১০৭৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1078, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৭৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1078, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৭৮ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১৩.২.২৪. সকাল ৭টা৫০মিনিট।


শব্দসূত্র: রক্তে প্রেম তরঙ্গ


প্রেম

রক্তে মনে

যা মুঠোয় ব্রহ্মান্ড

ধরে।


প্রেম তরঙ্গ

অন্ত: সলিলা হয়ে

ছুটে চলে ।


শব্দ রক্তে 

শব্দ প্রেমে

শব্দ তরঙ্গে


আমায় নিয়ে লোফালুফি খেলে।

কলকাতায় কবিতা দিবসে 'সপ্তাহ' পত্রিকা ।। সংস্কৃতি সংবাদ ।। দিপালী মাইতি, Saptaha

কলকাতায় কবিতা দিবসে 'সপ্তাহ' পত্রিকা । সংস্কৃতি সংবাদ 

দিপালী মাইতি


২১ মার্চ, কলকাতা ।। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ' সপ্তাহ ' র আয়োজনে পত্রিকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ' কবিতা দিবস' ।‌ ইউনেস্কোর ঘোষণাক্রমে ১৯৯৯ সাল‌ থেকে প্রতি বছর ২১ মার্চ সারা পৃথিবীতে এই দিবস পালন করা হয় । অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে  বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সপ্তাহ পত্রিকা সম্পাদক  দিলীপ চক্রবর্তী  কবিতা দিবসের তাৎপর্য ও সপ্তাহ পত্রিকার আদর্শ ব্যাখ্যা করেন । 

                   অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন  নন্দিতা সেন বন্দ্যোপাধ্যায়,  সিদ্ধার্থ সিংহ, সুকুমার রুজ ও সুতপা ভট্টাচার্য চক্রবর্তীএবং নীলাঞ্জন কুমার  । কবি সিদ্ধার্থ সিংহ কবিতা দিবস কেন্দ্রিক নিবন্ধ পাঠ করেন ।সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন রেনেসাঁ পত্রিকা সম্পাদক সুতপা ভট্টাচার্য চক্রবর্তী ।

শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

শব্দব্রাউজ- ১০৭৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1077, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৭৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1077, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৭৭ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১১.২.২০২৪ সকাল এগারটা


শব্দসূত্র: অনন্ত ম্যারাথন


সন্ধ্যাতারা যেমন

নিজে থেকে

আকাশে শোভা দিতে‌ আসে

ঠিক তেমনি

শব্দ

নিজে নিজেই ধরা দেয়

অসংখ্য কলমে।


অনন্ত ম্যারাথনে

যেমন রঙিন রিবন

বাধা দিতে আসে না

ঠিক তেমনি

শব্দ স্বাধীন হয়ে

ছোটে ছোটৈৈ

হিসেবহীন মুহূর্তে ।


আটপৌরে ৭০৬ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 706 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭০৬ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 706 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭০৬

ব্যবধান 


এপাড়। কাঠালপোতা। ওপার। 


চন্দনগড়


কূলে শুধুই নদীর জোয়ার।

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪

কেউ দেখেছে ? ।। শিশির আজম ।। কবিতা, Sisir Azam

কেউ দেখেছে ?

শিশির আজম






এক মেয়ে একটা ইঁদুর ধরে খাচ্ছে
হেমন্তের দুপুরে
খড়ের গাদায়
আমি দেখলাম

এর আগে কখনো কোন মেয়েকে
ভরদুপুরে
আমি ইঁদুর খেতে দেখিনি

হ্যা মেয়েটা কুমারী
আর ইঁদুরটা তাজা
হাসিখুশি

পাখিদের পাড়া পড়শী- ৩// ৫ পঙ্কজ গোবিন্দ মেধি মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ-বাসুদেব দাস, Pankaj Gobinda Medhi, Pakhider Para Porshi

পাখিদের পাড়া পড়শী- ৩// ৫

পঙ্কজ গোবিন্দ মেধি   

মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ-বাসুদেব দাস,  

Pankaj Gobinda Medhi, Pakhider Para Porshi




তৃতীয় অধ্যায়, পঞ্চম অংশ ।। পাখিদের পাড়া- পড়শী

......

তৃতীয় অধ্যায়


(৫)

আমরা পরিচালিত  করা প্রতিটি প্রকৃতি শিবির নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম। আজও তার ব্যতিক্রম হতে পারে না। আগের শিবিরে অংশগ্রহণ করা ছেলেমেয়েরা ইতিমধ্যে শিবিরে এসে পড়েছে দেখতে  পাচ্ছি।

এবারের প্রকৃতি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে গঙ্গা পুকুরের পারে অবস্থিত বরকুরিহা  মেয়েদের হাইস্কুলে। হাইস্কুলটার পাশে বিষ্ণুমন্দির অবস্থিত। এই বিষ্ণু মন্দিরে প্রতিবছর ধুমধাম সহকারে বাসন্তী পূজা উদযাপন করা হয় এবং মহা অষ্টমীর দিন গঙ্গাপুকুরীতে মৃতদের অস্থি বিসর্জন দিয়ে আত্মার সদ্গতি কামনা করা হয়। প্রবাদ মতে এখানে অস্থি বিসর্জন দিলে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দেওয়ার সমার্থক হয়। এই পর্ব পূর্বাপর থেকে চলে আসা বিশ্বাস এবং প্রচলিত রীতির ভক্তিপূর্ণ সমাহার। বিষ্ণু মন্দির পরিচালনা সমিতির সভাপতিকে সুনন্দরা আজকের প্রকৃতি শিবির উন্মোচন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মানুষটা কিছুটা বয়স্ক। নিমন্ত্রণ করতে যাবার পরে তিনি নাকি বলেছিলেন–বাপুরা, আমি কিন্তু শিবির উন্মোচন করেই ফিরে আসব। সুনন্দরা সম্মত হওয়ায় তিনি ও রাজি হয়েছিলেন।

উপস্থিতির সংখ্যা গণনা করার জন্য এক দুই তিন করে প্রথম থেকে আওড়ে যাওয়ার নিয়মটা সৌম্যদাই শুরু করেছিলেন। আজ তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। যারা ইতিমধ্যে আমাদের প্রকৃতি শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন তারা পদ্ধতিটার সঙ্গে পরিচিত। তারা একাদিক্রমে ক্রমিক সংখ্যা বলে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন শিবিরে অংশগ্রহণকারীরা কিছুটা অসুবিধা অনুভব করল যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিল।

 গণনা থেকে জানতে পারা গেল শিবিরে অংশগ্রহণ করা প্রকৃতি কর্মীর সংখ্যা হল মোট বিরাশি জন। কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোকও ইতিমধ্যে অংশগ্রহণ করেছে। এই সফলতার আড়ালে রয়েছে সুনন্দ, নবজিত বৈশ্য কীচকদের প্রচেষ্টা। কাঠ খড়ির দোকান দেওয়া অচুত শিবিরে অংশগ্রহণ করতে আসায় খুশি হয়েছি, উৎসাহিত বোধ করছি। অনামিকা এসে নির্দিষ্ট স্থান অধিকার করে আগে থেকেই বসে আছে। তার পাশে আগের শিবিরের মতো এবারও পাশে বসেছে সুনন্দের বোন জ্যোতিমালা। প্রকৃতির শিবিরের কার্যক্রম আরম্ভ শুরু হতে কাকাবাবু এবং কাকিমা এসে উপস্থিত হলেন। হেমেনদাকেও সপরিবারে দেখতে পাচ্ছি।

সুনন্দ সভাপতি কলিতা দেবকে একটা গামছা দিয়ে বরণ করে তাকে শিবির উন্মোচন করার জন্য অনুরোধ জানাল। মানুষটা একটা সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে শিবির শুরু হল বলে ঘোষণা করলেন। সাধারণত বয়োবৃদ্ধ লোক কিছু জনসমাগম দেখতে পেলে নিজের এবং পরের একই কথাগুলি বলতে থাকে। সময় নষ্ট করে বলে বদনাম আছে। বিষ্ণু মন্দির পরিচালনা সমিতির সভাপতিকে এই ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম বলতেই হবে। শিবির উন্মোচন করে তিনি নিজস্ব আসনে বসে প্রকৃতি শিবিরে কী আলোচনা হয় শোনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।

এরপরে আমার পালা এল।

সুনন্দ আমাকে এবারের প্রকৃতি শিবিরের মূল বিষয় অরণ্য গ্রামের বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য আহ্বান জানাল। আহ্বান অনুরোধ আদি নিয়মমাফিক ক্রমণিকা। মানে এসবই সভার নিয়মমাফিক কাজ। আগে আমি সেই সবে বিরক্ত অনুভব করতাম। তবে পরম্পরা এবং আনুষ্ঠানিকতার জন্য অনেক কথার প্রয়োজন আছে। নিজের বুদ্ধিই ভালো। আমার বোধহয় সেরকমই হয়েছে। এখন আমি পরম্পরা এবং আনুষ্ঠানিকতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই।

সুনন্দ আমাকে আহ্বান জানানোর আগে সামনের সারির একটি চেয়ারে বসে আমি অনেক কথাই ভাবছি। আজকের শিবিরটা পরিচালনার ওপরে নির্ভর করছে আমাদের সাফল্য। আজ যে তার প্রথম পদক্ষেপ। আমি একটু ভীত হয়ে পড়েছি। এখানে উপস্থিত থাকা অনেক সদাশয়  ব্যক্তিকে অরণ্য গ্রামের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। তা না হলে আমাদের সহজ কাজগুলিও কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে অরণ্য গ্রামের ওপরে পূর্বাপর কোনো তথ্য বা লিখিত রূপ নেই আমি যার সাহায্য নিতে পারি। এই প্রকৃতির শিবিরের মাধ্যমে আমি যা বলতে চাইছি বা করতে চাইছি সেটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি অথবা অনুভব।

আমি দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে সবাইকে সম্ভাষণ  জানালাম। প্রকৃতি শিবিরে উপস্থিত থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানালাম। তারপরে আরম্ভ করলাম আমার স্বপ্নসন্ধানী অভিলাষ—অরণ্য গ্রাম।

—আমার বরকুরিহায় আসার উদ্দেশ্য ছিল বকের অধ্যয়ন। আপনাদের মধ্যে যারা আমাকে জানেন আপনারা আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত। বিভিন্ন কারণে আমি আমার অধ্যয়ন সমাপ্ত করতে পারিনি। কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকের আন্তরিক সৌহার্দ্য এবং একান্ত ইচ্ছায় আমি এই বরকুরিহা অঞ্চলে এক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছি। আপনাদের নিশ্চিত সহযোগে বরকুরিহা অঞ্চলকে অসম ভারত তথা বিশ্বের এক ব্যতিক্রমী স্থানে পরিবর্তিত করার আগ্রহ আমাদের অনেকের মনের মধ্যে পুযে রেখেছি। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমাদের এই অঞ্চল প্রাকৃতিক বৈভবে সমৃদ্ধ।

 আমি ইচ্ছাকৃতভাবে অচ্যুতের দোকানের শীর্ষকটিকে উদ্ধৃত করে অচ্যুতের  দিকে তাকালাম। সে একান্ত মনে আমার কথা শুনে চলেছে।

-- গাছপালা পাখ পাখালি জন্তু সাপ আছে। আমরা এই ক্ষেত্রটিকে  একটু বড়ো পরিসরে সাজালে একটু নতুন রূপ প্রদান করলে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে আমরা আরও সমৃদ্ধ হতে পারব। পাগলা দিয়া নদী এবং গঙ্গাপুখুরি আমাদের সাহচর্য প্রদান করেছে। আমরা অরণ্যের প্রসার ঘটাতে পারি। সঙ্গে আরম্ভ করতে পারি প্রকৃতি পর্যটন। এটা আমাদের ছেলেমেয়েদের বেকার সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে। আসুন আমরা এই বিষয়ে দু একটি কথা বলি।

 যদি আমার কোনো ভুল হয়ে নাা থাকে  আমার কথাগুলি সবাই শুনছে মনে হল।উপস্থিত প্রকৃতি কর্মীদের দেখলে মনে হয় তারা আমি বলা কথা বলি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করছে।

 আমাদের মধ্যে অনেকেই অরণ্যের মধ্যে গ্রাম থাকা বলে জানি। ডিব্রু চৈখখোয়া  অভয়ারণ্যের মাঝে থাকা দুটি গ্রাম হল দুধিয়া এবং লাইকা। একইভাবে নেপাল বা অন্যান্য দেশেও অভয়ারণ্যের মধ্যে গ্রাম থাকার কথা আমরা জানতে পারি। আমরা জানি আফ্রিকার চেরেংগেটি অভয়ারণ্যের মধ্যে  মাসাইদের গ্রাম আছে।আমি একটি নতুন ধারণা নিয়ে আপনাদের কাছে নতশিরে প্রণাম জানাচ্ছি। সেটা হল অরণ্য গ্রাম। সুনন্দের সঙ্গে বাঁধের ওপরে পুরোনো রাস্তা দিয়ে একদিন হেঁটে যাবার সময় আমার মনে এই ধারণাটির উদয় হয়েছিল। বন্যার ফলে বালি পরে সেই দিকের  বিস্তৃত অঞ্চল চাষ করতে না পারার মতো অবস্থা হয়ে রয়েছে।সেখানে বিভিন্ন জাতির উদ্ভিদ গজিয়ে উঠেছে।ঘাস না হওয়ার ফলে মালিকরা সেই জমির ওপরে গুরুত্ব দেয়নি কিন্তু অরণ্য গড়ে ওঠার প্রাথমিক পরিক্রমা সেই অনাবাদি মাটিগুলি ইতিমধ্যে প্রদর্শন করেছে ।কাশবনের মধ্যে দুই একটি বড়ো গাছ গজিয়ে উঠছে। এভাবে বাঁধ থেকে নদীতে  যে পরিত্যক্ত মাটি তা সমূলে বিনষ্ট হচ্ছে।সেখানে গাছপালা লাগিয়ে ক্রমে আমরা অরণ্যে রূপান্তরিত করতে পারি। তৃতীয় তো আপনাদের বস্তি সমূহ সেখানে আমরা নিজের মতো করে এক একটি ক্ষুদ্রাকৃতির অরণ্য গড়ে তুলতে পারি।প্রতিঘর লোকের ক্ষুদ্রাকৃতির অরণ্য আমাদের এই বরকুরিহা গ্রামকে একটি অরণ্য গ্রামে রূপান্তরিত করবে। গ্রীষ্মকালে গাছগুলি ছায়া দান করবে ,সারা বছর আমাদের অম্লজান দেবে, ফল দেবে, খড়ি দেবে এবং শেষে দেবে কাঠ ।তার জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে পারি। আমার জানা মতে অসম ছাড়া ভারতের আর কোথাও অরণ্য গ্রাম নেই।যদি আমাদের পরিকল্পনায় আপনাদের নূন্যতম আগ্রহ নেই তাহলে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করব ।

উপস্থিত প্রকৃতি কর্মীদের আমি আবেগিকভাবে পরিচালিত করার জন্য চেষ্টা করলাম।আমার এই চেষ্টা কাজে লাগার মতো মনে হল ।

কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে সমস্বরে আমাকে সমর্থন জানাল। বয়োজ্যেষ্ঠ কয়েকজন তাদের মধ্যে কিছু আলোচনা করে থাকতে দেখতে পেলাম।

  তুমি সমস্ত কথা খোলাখুলি করে বল। এখন পর্যন্ত তোমার কথাগুলি শুদ্ধ এবং পরিষ্কার। তোমার কথায় আমরা আশ্বস্ত হলে তোমাকে সাহায্য না করার প্রশ্নই উঠতে পারে না।

কাকাবাবুর পাশে থাকা ষাট বছরের উর্ধ্বে একজন ভদ্রলোক বললেন। আমি মানুষটাকে আগে দেখিনি এবং জানি না। সুনন্দকে পরে জিজ্ঞেস করতে হবে তিনি কে ।উপস্থিত লোকদের প্রেরণায় আমি  আপ্লুত হলাম। । 

আপনারা প্রত্যেকেই সহযোগিতা করলে আমরা কিছু দল গঠন করব এবং গ্রামের চারপাশে পরিকল্পিতভাবে গাছের চারা রোপনের কাজ আরম্ভ করব। 

একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে হাত উপুড় করে বসে থাকতে দেখতে পেলাম।

    --বলুন কাকাবাবু।

    --তার জন্য তুমি টাকা পয়সা কোথা থেকে পাবে?

 --কাজের ইচ্ছা থাকলে ধনের অভাব হয় না

 --তুমি কোনো এনজিওতে কাজ কর নাকি?সরকারি পয়সা পেয়েছ?

 মানুষটার বক্তব্য অনুসারে মানুষটা আমাকে সন্দেহ করছে।তাঁর বক্তব্য শুনে আমি কিছুটা আবেগিক হয়ে পড়লাম।

 ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে বিষয়ার পদে চাকরি করি।আমি উপার্জন করা প্রতিটি পয়সা আমি এই গ্রামের উন্নয়নের জন্য খরচ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কেবল কাকাবাবু,আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।আমি গ্রামের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা এবং গ্রামের ছেলেদের বেকার সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে দিতে চাই।

--বাপা।তুমি মানুষগুলির কথায় মাথা ঘামিও না।এরা সবাইকে সবকিছুতে সন্দেহ করতে জানে।তিনি পঞ্চায়েতের মেম্বার হয়ে থাকার সময় কী করেছিল আমার মনে আছে।তুমি তোমার কথা বলে যাও।

অন্য একজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোক বলল।আমি দেখলাম কথা এখন বিষম।এঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে শিবিরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে।

--আপনাদের কেউ কারও কথা নিয়ে অশান্তি করবেন না।আমরা প্রত্যেকেই সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাব।প্রথম পর্যায়ে আমরা হয়তো এই গ্রামের প্রতিঘর ব্যক্তির ঘরে ফল এবং দ্রুত বড়ো হওয়া কাঠজাতীয় গাছের চারা রোপণ করব।আমরা গঠন করা দলের ছেলে-মেয়ে প্রতিটি গাছের প্রতিপালন করব।আপনারা প্রতিপালন করবেন।দুই তিন বছর পরে গাছগুলি ফল দান করবে।নির্দিষ্ট দলের সদস্য সেইসব সংগ্রহ করবে।মালিক এবং দলের সদস্যদের মধ্যে সেই ফলগুলি বা মুল্যের ভাগ বাঁটোয়ারা হবে।কাঠ উৎপাদন করা গাছগুলির ক্ষেত্রে এভাবে নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে বিক্রি করার পরে মালিক এবং প্রতিপালন করা সদস্যের মধ্যে মূল্যের ভাগ হবে।সেইসব চুক্তি অনুসারে আগেই সম্পন্ন করা হবে।আপনাদের যাদের মাটি পতিত হয়ে পড়ে আছে সেসব তো ফল এবং কাঠের জন্য গাছ রোপণ করা হবে।আপনারা লাভবান হবেন এবং আপনাদের ছেলেমেয়েরাও লাভবান হবে।তারচেয়েও বড়ো কথা আপনাদের এই অঞ্চল পাখির কাকলি এবং গাছের সবুজাভায় ভরে পড়বে।প্রকৃ্তির মধ্যে থাকলে নাকি মানুষের আয়ু বাড়ে।প্রকৃ্তিই মানুষের সঙ্গী।কেন না ভালো সঙ্গ মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

--তবে এই জায়গাগুলিতে অরণ্য হলে সাপ-বিছায় ভরে উঠবে না কি?

আমাকে সন্দেহ করা জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিটি পুনরায় বলল।

--কাকাবাবু।গাছ গজালে পাকা পাতা দুই চারটে খসে নিচে পড়ে উঠোন নোংরা করবেই।আমাদের ঘরের ভেতরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঘরের ভেতরেও মাকড়সা এবং সুন্দর রান্নাঘরের ভেতরেও আরশোলা থাকে।ঘরে টিকটিকি থাকে।সেইসব প্রকৃতির সম্পত্তি।আমাদেরকেই দেখাশোনা করতে হবে।আমরা সজাগ হলে আমাদের কাঁটা বিঁধতে পারবে কি?

মানুষটা উলটে আর কিছু বলল না।তাঁর প্রশ্ন শুনে কয়েকজন তাঁর চোখ বড়ো করে তাকিয়ে রইল।আমি পরিবেশটা যতটা সম্ভব তত সহজে সামলে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রয়াস করলাম।     

--তারচেয়েও বড়ো কথা ,আমরা এখানে প্রকৃতি পর্যটনের ব্যবস্থা করতে চাইছি।প্রকৃ্তি পর্যটন মানে যে সমস্ত পর্যটক প্রকৃ্তির মধ্যে সুন্দরের সন্ধান করতে চেয়ে অরণ্য অথবা প্রকৃ্তির মধ্যে এসে নিরন্তর বিচরণ করতে চায় এমন পর্যটক।আমাদের গ্রামটিকে অরণ্য গ্রামে আমরা রূপান্তরিত করতে পারলে এখানে পর্যটক আসবে।তাঁরা এখানে থাকার জন্য আসবে।অরণ্যের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে।পাগলাদিয়া নদীতে বা নির্দিষ্ট সময়ে গঙ্গাপুখুরিতে বড়শি বাইবে।অস্থি বিসর্জন দেবার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসবে।মোটের ওপর আপনাদের সহযোগিতা এবং নিতান্ত সহায় বরকুরিহা গ্রামটিকে পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নত করবে।সমস্ত জায়গায় আর সমস্ত কথায় নয়,লাগে না,হবে না বলা মানুষ যেভাবে কয়েকজন থাকে সেভাবে করবই বলে মন দৃঢ় করা মানুষ অনেক বেশি থাকে।আমি নিজেকে বিশেষ বলে পরিচয় দেবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হিসাবে গণ্য করা কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি খুঁজছি।আপনারা আমাকে সহযোগ করতে পারবেন কি?

আমাকে অবাক করে দিয়ে ঘরে থাকা প্রতিটি কর্মী উঠে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করল।

তাঁদের উৎসুক্যতা এবং সহযোগিতায় আমি আপ্লুত হয়ে পড়লাম।

--আমাদের এই প্রকৃ্তি শিবিরের পরবর্তী সময়ে আমরা বৃক্ষরোপণের কাজ আরম্ভ করব।প্রথমে নদী অঞ্চলে,তারপরে পরিত্যক্ত স্থানগুলিতে এবং শেষে প্রতিটি পরিবারের বাগানে-বস্তিতে।একই সময়ে আমরা আরম্ভ করব প্রকৃতি পর্যটনের কাজ সমূহ।এই বিষয়ে আমাকে পথ দেখানোর জন্য আগামী কালের শিবিরে উপস্থিত থাকবে সৌ্ম্যদা।

--প্রকৃ্তি পর্যটন কী হে?

বয়োজ্যেষ্ঠ সেই একই ভদ্রলোক পুনরায় প্রশ্ন করলেন।

--অতি সাধারণভাবে বলতে গেলে যারা প্রকৃতিকে ভালোবেসে প্রকৃ্তির মধ্যে বেড়াতে আসে এবং প্রকৃতির কোনো অনিষ্ট সাধন না করে ভ্রমণ শেষ করে সেই প্রক্রিয়াকে প্রকৃতি পর্যটন বলা হয়।আগামীকাল এই বিষয়ে আপনারা বিশদভাবে জানার সুযোগ পাবেন।আমরা পুনরায় অরণ্য গ্রামের বিষয়ে কথা বলি।

মানুষটাকে পুনরায় অন্য প্রশ্ন করার সুযোগ না দেবার জন্য আমি আরম্ভ করলাম।

--এই শিবিরে অংশগ্রহণ করা আমাদের মাঝখানের দলটি আমরা দুটো ভাগে ভাগ করব।একটি দলে অরণ্য গ্রাম এবং অন্য দলটি প্রকৃ্তি পর্যটনের ক্ষেত্রটিতে কাজ করব।অরণ্য গ্রামে কাজ করা দলটিতে থাকবে ছাত্র-ছাত্রী,চাকুরীজীবী বা কোনো ধরনে সংস্থাপন থাকা লোকেরা যারা প্রকৃ্তিকে ভালোবাসে এবং প্রকৃ্তির উত্তরণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে চায়।অন্যদিকে প্রকৃ্তি পর্যটনের দলটিতে থাকবে উপার্জনমুখী যুবক-যুবতী।দল দুটির প্রথমটি হবে স্বেচ্ছাসেবক এবং দ্বিতীয়টি হবে পেশাদারী।প্রয়োজনে তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক থেকে পেশাদারী বা পেশাদারী থেকে স্বেচ্ছাসেবকে পরিণত হতে পারবে।আপনারা আমার সঙ্গে একমত কি?

আমি কাকাবাবুর পেছনে বসে থাকা অন্য একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম।

--বাপু,আমার বয়স হয়েছে।কথাগুলি ভালোভাবে বুঝতে একটু সময় লাগবে।কিন্তু যতটুকু বুঝতে পেরেছি তোমরা কোনো একটি ভালো কাজ করতে চাইছ।দশের উপকারে আসবে।আমার আশীর্বাদ আর শুভ ইচ্ছা তোমাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে।

--তোমরা বুঝতে পেরেছ?

শেষের দিকে বসে থাকা অংশগ্রহণ কারী প্রকৃ্তি কর্মীদের উদ্দেশ্যে আমি জিজ্ঞেস করলাম।

--একটু আধটু।

আমি নাম না জানা একজন অংশগ্রহণকারী উত্তরে বলল।

--দাঁড়াও।তাহলে।আমি মোটামুটিভাবে পুনরায় বলে চলেছি।এখানে উপস্থিত থাকা আমরা প্রত্যেকেই প্রকৃতিকে ভালোবাসি।গাছ-লতা,পাখ-পাখালি,জীব-জন্তু,প্রজাপতি সাপ আমাদের জন্য প্রিয় বিষয়।সেইজন্য ওদের অনিষ্ট হওয়া কোনো কাজ আমরা করব না। গাছগুলি একদিন বড়ো হবে এবং আমাদের গ্রামটি হয়ে পড়বে একটি অরণ্য গ্রাম। অরণ্য গ্রাম স্থাপন করার পরে আমাদের গ্রাম দেখার জন্য লোক আসবে। তারা আমাদের জন্য পর্যটক হবে। আমরা তাদের থাকা খাওয়ার সুবিধা করে দেব। তার বিনিময়ে তাদের প্রদত্ত ধন হবে আমাদের গ্রামের বেকার যুবক যুবতীর জন্য উপার্জন। আগেই বলেছি যদিও আরও একবার উল্লেখ করাটা ভালো হবে— অরণ্য গ্রামে যারা শ্রমদান করবে তারা আমাদের স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রকৃতি পর্যটনের সঙ্গে যারা জড়িত হবে তারা উপার্জনের স্বার্থে হবে বৃত্তিমুখী। আপনারা প্রত্যেকেই এখন বুঝতে পেরেছেন যে আমরা অরণ্য গ্রাম এবং প্রকৃতি পর্যটন দুটি ক্ষেত্রে কাজ করব। এই কাজ সমূহ আজ থেকেই আরম্ভ হয়েছে। এই শিবির শেষ হওয়ার পরে, দুই এক দিন পরে আমাদের মাঝখানের কে কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করব। এখন আপনারা প্রত্যেকে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।পেরেছেন কি?

নাম না জানা অংশগ্রহণকারী প্রকৃতি কর্মীকে লক্ষ্য করেই আমি জিজ্ঞেস করলাম।

— হ্যাঁ দাদা।বুঝতে পেরেছি।

— এখন পুনরায় এসেছি অরণ্য গ্রামে। অরণ্য গ্রামে রোপণ করার জন্য আমরা গাছের চারাগুলি কোথা থেকে পাব। প্রথমে আমরা গাছপালা গুলি সংগ্রহ করব অসম সরকারের সামাজিক বনানীকরণ বিভাগ থেকে। তাদের চারা বিক্রয় কেন্দ্র আপনাদের আশেপাশে কোথায় আছে আপনারা জানেন কি?

আমার প্রশ্ন শুনে প্রত্যেকেই মৌন হয়ে রইল। আমি ধারনা  করলাম এই সন্দর্ভে উপস্থিত প্রকৃতি কর্মীরা অজ্ঞ । হলঘরটার বাইরে হোয়াইট থ্রোটেড ফেন টেইল একটা পাখি শিস বাজিয়ে বাজিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এই পাখিটা আমার পেছন ছাড়বে না বলে মনে হচ্ছে।

 —আপনারা মইরাদাঙা নামটা শুনেছেন।ধমধমা রাস্তা দিয়ে গেলে ফার্মের চকটা পাবার আগেই পাওয়া যায়।সেখানে বাঁধ থেকে নেমে গেলে পাগলাদিয়া নদী তীরে সামাজিক বনানীকরণ বিভাগের গাছের চারা উৎপাদন এবং একটা  বিক্রি কেন্দ্র আছে। সেখানে উপলদ্ধ সমস্ত ধরনের গাছের চারা এক একটি দুই টাকা দরে করে।প্রথমে আমরা তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করব।যদি আমাদের মধ্যে কারও নার্সারি খোলার ইচ্ছা হয় তাহলে আমরা তাকে সাহায্য করব।দুইজন তিনজন বা কয়েকজন যদি কয়েকটি নার্সারি খোলে তাহলে আমাদের মধ্যের প্রকৃ্তি কর্মীরা উপার্জনের একটা ভালো পথ দেখতে পাবে।আজকাল নার্সারি লাভজনক ব্যাবসা।আমাদের প্রয়োজনীয়  চারা সমূহ আমরা তাদের কাছ থেকে কিনব।

আমি এবার উপস্থিত প্রত্যেকের দিকে তাকালাম।প্রত্যেকেই গুরুত্ব সহকারে কথাগুলি শুনছে।

—গাছের চারাগুলির মধ্যে ফল দান করা আম,কাঁঠাল,জাম,লেতেকু,হরিতকি,ভোমরা আদি গাছ থাকবে।আশা করি দুই তিন বছরের মধ্যে গাছগুলি ফল দিতে শুরু করবে।গৃহস্থের জন্য এক টুকড়ি জাম বা পাঁচটা কাঁঠাল বাজারে বিক্রি করা কঠিন।সেই কাজ আমাদের মাঝখানের কোনো প্রকৃ্তি কর্মী করবে।উপার্জন গৃহস্থ এবং প্রকৃ্তি কর্মী বা আমাদের সংগঠনের পকেটে আসবে।কার হাতে কত যাবে —তারজন্য নীতি নির্ধারণ কমিটি নির্দিষ্ট করবে।লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কারও মনে অসুয়ার সৃষ্টি না হয়।  কাঠের জন্য যে সমস্ত গাছ রোপন করা হবে সেই সব  থেকে উৎপাদন পাবার জন্য কয়েক বছর  অপেক্ষা করতে হবে। শিশু বনসাম গামারি ইত্যাদি গাছ বড়ো হতে সময় লাগে। সেই গাছগুলোর উৎপাদন ফলাফল বিষয়ে ভাবার জন্য আমরা হাতে যথেষ্ট সময় পাব।

  অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে থাকার জন্য আমার মুখ শুকিয়ে আঠালো হয়ে গেছিল। টেবিলের ওপরে জলের বোতল ছিল না। আনাও হয়নি।আমি সুনন্দের দিকে জলের বোতলের জন্য ইঙ্গিত করায় সে চারপাশে জলের বোতল খুঁজতে লাগল।তার অবস্থা দেখে আমার হাসি পেয়ে গেল।সে জল নয়,একটা কটারি খোঁজ করার মতো ভান করছে।সুনন্দের বিপত্তি দেখতে পেয়ে কাকাবাবুর বৌমা অনামিকা সঙ্গে আনা জলের বোতলটা সুনন্দের হাতে তুলে দিল। সেই বোতলটি থেকে কিছুটা জল গলাধঃকরণ করার পরে আমার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠল।

 আমি পুনরায় আরম্ভ করার আগে চা-পর্ব সমাপন করার জন্য সুনন্দ এবং নবজিৎ বৈশ্যকে অনুরোধ জানালাম।তাঁরা যেন আমার সেই বাক্যের জন্যই অপেক্ষাা করছিল।কাকাবাবুর বৌমা অনামিকা এবং সুনন্দের বোন জ্যোতিমালার নেতৃত্বে পরিচ্ছন্ন ভাবে সবার হাতে চা-বিস্কুট তুলে দেওয়া হল।

---তোমাদের কেউ বাইরে যেতে চাইলে যেতে পার।কিন্তু বাইরে গিয়ে মুখে কোনোকিছু চিবিয়ে আসবে না।বুঝেছ তো।

সুকলমে শেষ হওয়া চা পর্বের পরে আমি পুনরায় আরম্ভ করলাম।

এইবার আসছি প্রকৃ্তি পর্যটনের ক্ষেত্রে।তারজন্য আমরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কিছু ঝুপড়ি ঘর তৈ্রি করার প্রয়াস করব।নদীর তীর হলে ভালো।কীরকম জায়গায় আমরা মাটি লাভ করি তার ওপরে ঘরগুলি তৈরি করাটা নির্ভর করবে।প্রতিটি ঝুপড়িতে একটি ছোটো বারান্দা,একটি ঘর,স্নান করা ঘর এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকবে।একটা ঘরে একা একজন ব্যক্তি বা ছোটো পরিবার অনায়াসে থাকতে পারার ব্যবস্থা করা হবে।ঝুপড়িগুলির নির্মাণ করায় অত্যাধুনিক সামগ্রির চেয়ে আমাদের স্থানীয় নির্মান পদ্ধতিকে গুরুত্ব আরোপ করা হবে।পর্যটকদের জন্য পাখ-পাখালিদের পর্যবেক্ষণ,আলোকচিত্র সংগ্রহ,বড়শি বাওয়া ,স্থানীয় লোকসঙ্গীত এবং স্থানীয় খাদ্য পরিবেশনাদির ব্যবস্থা থাকবে।পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য বিজ্ঞাপন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করার জন্য প্রয়াস করা হবে।সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো সময়ে বিশেষভাবে শীতকালে তাঁবুর ভেতরে রাত যাপনের সুবিধা লাভ করবে পর্যটকরা।বাণিজ্যিক গুরুত্ব প্রদানের দ্বারা এই সমস্ত কার্য ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।অংশগ্রহণকারী প্রকৃতি কর্মীরা চাকরি ভিত্তিক বেতন লাভ করবে এবং লভ্যাংশ সংগঠনের তহবিলে জমা হবে।সেই ধন বাণিজ্যিক প্রসার এবং প্রকৃ্তি কর্মীদের ভবিষ্যত সুরক্ষায় ব্যয় করা হবে।এখানে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত রাজত্ব থাকবে না।কোনো প্রকৃ্তি কর্মী,স্থানীয় নাগরিক এবং পর্যটকের ঔদ্ধত্য নাগরিক সমাজের দ্বারা গঠিত সমিতি নিরীক্ষণ করবে।অরণ্য গ্রামের ভেতরে সুরা ,ধূমপান,গুটখা,প্লাস্টিকের ব্যবহার পূর্ণরূপে বর্জিত হবে এবং নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব থাকবে অরণ্য গ্রামের নারী সমাজের দল।

বাক্যটি বলার সঙ্গ সঙ্গে উপস্থিত প্রকৃতি কর্মীরা ডেস্ক থাপড়ে আমাকে সমর্থন জানাল।কাকাবাবুর বৌমা অনামিকা অনেকক্ষণ ডেস্ক থাপড়ে থাকা আমি লক্ষ্য করলাম।সম্ভবত উপস্থিত প্রকৃ্তি কর্মীদের আমি আবেগিক করে তুলতে সক্ষম হয়েছি।এখন কেবল আবেগকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার কথা।

--অরণ্য গ্রামের প্রারম্ভিক কাজ হিসেবে আপনারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট দিনে বৃক্ষররোপণ কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।করবেন আমরা প্রত্যেকেই সেই দিনটিতে বৃক্ষরোপণ করে বৃহত্তর সমাজকে জানিয়ে দেব –আমরা অরণ্য গ্রামে জড়িত হয়ে পড়লাম।আপনারা আমার সঙ্গে একমত কি?

প্রত্যেকেই সমস্বরে হর্ষধ্বনি করে উঠল।

--এখন আমাদের প্রকৃ্তি শিবির স্থাপনের জন্য মাটির প্রয়োজন।সেই মাটি নির্দিষ্ট আইন কানুনের মধ্য দিয়ে লীজে নিতে পারা যায় অথবা আপনাদের ইচ্ছা অনুসারে ব্যবহার করা যেতে পারে।আপনাদের মধ্যের কেউ আমাদের মাটি দিতে ইচ্ছুক নাকি?আমরা যত তাড়াতাড়ি মাটি লাভ করব তত তাড়াতাড়ি আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।

কিছুক্ষণের জন্য ঘরটাতে নীরবতা বিরাজ করল।আমি দেখতে পেলাম কাকাবাবু কাকিমার সঙ্গে ফিসফাস করে কিছু একটা বলছে।তারপরে দেখতে পেলাম কাকাবাবু উঠে দাঁড়িয়েছেন।

--আমার নদীর পাশেই দুই টুকরো মাটি আছে।এক টুকরো মাটিতে জ্যোতিষ ঘুমিয়ে আছে।সেখানে চার বিঘার মতো আছে।অন্য এক টুকরো মাটি আছে থান থেকে একটু এগিয়ে গিয়ে পুকুরটার অন্য পারে।সেখানে চার পাঁচ বিঘার মতো মাটি থাকার কথা।মাটিটা পতিত হয়ে রয়েছে।একটাও গাছপালা নেই।তোমাদের যতটুকু প্রয়োজন নিয়ে নিতে পার।লীজে নাও যা করার করবে।জনগনের যদি ভালো হয় বিনিময়ে আমার এক পয়সাও চাই না।    

--জ্যোতিষের সমাধি থাকা জায়গাটা অরণ্য অঞ্চলের কাছে।সেই জায়গায় গাছের চারা রোপণ করে ভালোভাবে অরণ্য হিসেবে গড়ে তোলার কথা।আপনি পতিত হয়ে পড়ে থাকা যে মাটিটা আমাদের দিতে চাইছেন সেটা আমরা আপনার সঙ্গে গিয়ে দেখে নেব এবং পরবর্তী সময়ে নীতি-নিয়ম অনুসারে এগোব।এই মাটিটুকু নিয়েই আমরা শুরু করি।কিন্তু একটা কথা আমাদের জানার দরকার আছে।কাকাবাবুর মাটিতে যেতেহলে আমরা আপনাদের মাঝখানকার কারও মাটির ওপর দিয়ে আসা যাওয়া করতে হবে।সেক্ষত্রে আপনারা আপত্তি করলে বা বিধি-নিষেধ আরোপিত করলে আমরা এগোতে পারব না।আপনাদের করজোড়ে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের এই সাহায্যটুকু করবেন।সঙ্গে আপনাদের মাটিতে বৃক্ষ রোপণ করার অনুমতি দেবেন।সেসব আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।ভাববেন না আমরা কোনো কারণে দখলদারীর ভূমিকা পালন করব।

আমি কথা বলার সময় সুনন্দ এবং নবজিৎ বৈশ্যকে বাইরে বেরিয়ে যেতে দেখলাম।দেখতে পেলাম রান্নাঘরের তদারকির দায়িত্বে থাকা নবজিতের কাকাবাবু এসেছেন।অর্থাৎ রান্নার পর্ব সমাপ্ত।হয়তো তাঁরা ভাবার চেয়ে আমরা বেশি দেরি করছি।

--আমরা আজ প্রকৃ্তি শিবিরের শেষ পর্বে এসে উপস্থিত হয়েছি।দুপুরবেলা আপনাদের জন্য ভাত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রত্যেকেই যেন সাগ্রহে আমাদের আতিথ্য গ্রহণ করে।সঙ্গে আগামীকালের প্রকৃ্তি পর্যটন বিষয়ক শিবিরে আপনাদের উপস্থিতি কামনা করছি।সেই শিবিরে আপনাদের জানতে চাওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও দেওয়া হবে।

উপস্থিত প্রত্যেককে নমস্কার জানিয়ে আমি অরণ্যগ্রাম বিষয়ক প্রকৃ্তি শিবিরের সমাপ্তি ঘটালাম।জানি না সময়কালে কী দাঁড়াবে।হয়তো ভালোই হবে।আমি আশাবাদী।             


 

      

     

 



























     

 
































শব্দব্রাউজ- ১০৭৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1076, Nilanjan Kumar

 শব্দব্রাউজ- ১০৭৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার || Shabdo browse-1076, Nilanjan Kumar





শব্দব্রাউজ- ১০৭৬ ।। নীলাঞ্জন কুমার

বিপাশা আবাসন তেঘরিয়া মেন রোড কলকাতা থেকে ১১.২. ২৪.সকাল সাড়ে দশ ।


শব্দসূত্র : এরই নাম প্রেম


শব্দ আমার সঙ্গে

পরকীয়া চায়

শব্দ রূপ ছলনার সামনে

দাঁড়াতে বারণ করে ।


এই পরকীয়া করতে করতে

ঘর সংসার , আত্মীয় পরিজন

ভুলতে ভুলতে অন্তরীক্ষে।


এই আমার আনন্দ

এই আমার শান্তি

এভাবেই ছুটে চলা লেখায়

প্রিয় শব্দ।

আটপৌরে ৭০৫ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 705 by Sudip Biswas

 আটপৌরে ৭০৫ || সুদীপ বিশ্বাস-এর কবিতা, Atpoure 705 by Sudip Biswas





আটপৌরে ৭০৫

নীলগোলাপ 

 না-বাধা। চুল। ছুঁতো।


 খোঁপায় 


ভালো বাসা দেবে গেঁথে।

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

বই কেনা যে মহিলার শখ ।। শিশির আজম ।। কবিতা, Sisir Ajam

বই কেনা যে মহিলার শখ

শিশির আজম



সেদিন কফিশপে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হলো
সুন্দরী
বয়স পঞ্চাশের ওপর আর 'মেঘে ঢাকা তারা' এযাবৎ ২১ বার দেখেছেন
বললেন উনি
দালি ওনার একদম পছন্দ না
জাপানি ছাপচিত্র হলো  বস্তুজগতের অসুখী আত্মার প্রতি সংবেদনশীলতা
উনি ভাবেন
কেন
তা উনি জানেন না
হ্যা বই কেনা ওনার শখ বিশেষত আফ্রিকান মিথোলজি আর আর্কিটেকচারের ওপর বই
কিন্তু সব বই পড়েন না
তাহলে এত এত বই কেনেন কেন, জানতে চাইলাম
একটু হেসে প্রশ্নটা উনি এড়িয়ে গেলেন
আর বই রাখার জন্য দামী আলমারি, উনি বললেন
আর প্রশস্ত সব তাক
যেখানে স্বচ্ছন্দে বইগুলোকে ছোঁয়া যায় নাড়াচাড়া করা যায়
শুনুন
যেসব বই আমি পড়িনে ওরাই আমার বেশি প্রিয়
ওদেরকেই
আমি ছুঁয়ে দেখি আর ঘ্রাণ নিই
ঘ্রাণ কি বিচিত্র
কি মারাত্মক
ওদেরকে
এর বেশি জানাটা আমার জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে

Registration (Online)

Trainee REGISTRATION (ONLINE)

                                                                                    👇           👉             Click here for registration...